October 8, 2024, 11:33 am

সংবাদ শিরোনাম
প্রশাসন সংস্থা ব্রিটিশ আইনের মাধ্যমে শাসন ব্যবস্থা চলতে পারে না-পর্ব ৭ মাতৃভূমির এক ইঞ্চি জমি ছাড় দেওয়া হবে না, পর্ব ৬ স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমি রক্ষা করতে হলে প্রতিটি ঘরে সেনাবাহিনী তৈরি করতে হবে(পর্ব-৫) আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জামায়াত নেতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিনের স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে হলে সশস্ত্র ট্রেনিং এর প্রয়োজন। বৈষম্য বিরোধী অভিভাবক ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কমিটির (পর্ব- ৪) ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে গড়তে হলে সংস্কার প্রয়োজন=== বৈষম্য বিরোধী অভিভাব ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নাটোর পল্লী বিদ্যুত সমিতিতে অদ্ভুতুরে কাণ্ডকীর্তি ভোলা বোরহানউদ্দিনে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষকগণের ১০ম গ্রেডের দাবিতে মানববন্ধন শারদীয় দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের লক্ষে বগুড়ায় বিএনপির মতবিনিময় সভা!

কুড়িগ্রামে ঠান্ডায় বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রামে কনকনে শীত আর উত্তরীয় ঠান্ডা বাতাসে কাহিল হয়ে পরেছে শ্রমজীবী মানুষ। দিনে সূর্যের আলো দেখা গেলেও বিকেল থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডা হাওয়ার কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে জনজীবন। বৃহস্পতিবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ২ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
এদিকে প্রচন্ড ঠান্ডার ফলে আগুন জালিয়ে ঠান্ডা নিবারণের চেষ্টা করছে শীতার্ত মানুষ। সকালে হেডলাইট জালিয়ে গাড়ি চলাচল করছে। সন্ধ্যার পর ফাঁকা হয়ে যায় গোটা এলাকা। প্রতিদিন হাসপাতালে বাড়ছে নতুন নতুন রোগীর সংখ্যা। এদের মধ্যে শিশু এবং বৃদ্ধ রোগির সংখ্যা বেশি।
জেলার উলিপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের গোড়াই রঘুরায় গ্রামের কৃষক মোস্তাফিজার রহমান, জমসেদ আলী ও বাচ্চু মিয়া জানান, ঠান্ডার ফলে কামলা পাওয়া যাচ্ছে না। পেলেও পুরোদিনের কাজ করা সম্ভব হয় না। কিছুক্ষণ পর পর তাদেরকে বিশ্রাম নিতে হয়। ফলে কাজ এগোয় না।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের খলিলগঞ্জ বাজারের ফার্মেসি ব্যবসায়ী প্রিন্স ও রোকন জানান, এই এলাকায় ঘরে ঘরে শিশুদের সর্দি-কাশি ও ডায়রিয়া দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন রোগীর চাপে হিমসিম খাচ্ছে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা। দিনে গড়ে প্রায় ৪০ থেকে ৫০টি শীতজনিত রোগীর প্রেসকিপশন পাচ্ছি আমরা।
খলিলগঞ্জ কাশিয়াবাড়ী এলাকার গৃহিনী আলতাফুননেছা জানান, ঠান্ডাতে শিশুর পাতলা পায়খানা হয়েছে। এই পাড়ায় শিশুদের জ¦র, সর্দি, কাঁশির প্রকোপ বেড়েছে। এছাড়াও ঠান্ডা পানি ব্যবহার করায় মহিলাদের হাত-পায়ে ঘা হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. পুলক কুমার সরকার জানান, হাসপাতালে ও আউটডোরে প্রতিদিন শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শিশু ও ডায়রিয়া আইসোলেশন ওয়ার্ডে প্রতিদিন গড়ে ৩৫ থেকে ৪০জন চিকিৎসা নিচ্ছে।
জেলার রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আনিছুর রহমান জানান, ধীরে ধীরে শীতের প্রকোপ কমছে। আগামি সপ্তাহের মধ্যে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে চলে আসতে পারে। বৃহস্পতিবার জেলায় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর