ডিটেকটিভ বিনোদন ডেস্ক
‘বদঅভ্যাস কার নেই! তিনি যতই সুন্দরী হোক, তারপরও কিছু বদঅভ্যাস থাকেই।’ প্রিয়.কম এর ‘বদঅভ্যাস’ সেগমেন্টে নিজের নেতিবাচক অভ্যাসগুলোর কথা বর্ণনার শুরুতেই এ বাক্য বললেন অভিনেত্রী ও উপস্থাপিকা সাবিনা রিমা। স্বল্পদৈর্ঘ্য ‘হৃদয়ের আয়না’ অভিনয় করে দর্শকের দৃষ্টিতে আসা এ অভিনেত্রীর কাছে তার নিজের বদঅভ্যাসের কথা জানতে চাইলে, স্বভাবসুলভ হাসি হেসে বলেন, ‘সকালে ঘুম থেকে উঠে কোনোদিনও মুখ ধুই না, দাঁত ব্রাশ করি না। আমি রাতের বেলা দাঁত ব্রাশ করে ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে কুলি করি কিন্তু দাঁত ব্রাশ করি না। অতঃপর চা পান করি, খাওয়া দাওয়া করি, তারপর সকাল ১০ টার দিকে গোসল করতে যাই। তখন দাঁত ব্রাশ করি। তার আগে দাঁত ব্রাশ করি না। এটি খুবই বাজে একটি বদঅভ্যাস।’
‘তবে আমি খুব পরিষ্কার, শুচিবায়ু। মূলত আমার ঘুমাতে অনেক রাত হয়। ৩ টা বেজে যায়। তো, তিনটার সময় যদি আমি ব্রাশ করে শাওয়ার নিয়ে ঘুমাই, তাহলে সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে আবার কেন দাঁত ব্রাশ করতে হবে! এজন্য আমি সকালে ১০ টার আগে ব্রাশ করি না। কিন্তু এর মানে এটা নয় যে আমি সারাদিন দাঁতই ব্রাশ করি না।’
দাঁত ব্রাশ না করার কারণে কোনো উল্লেখযোগ্য ঘটনা তার জীবনে ঘটেছে কি না, জানতে চাইলে সাবিলা ২০১২ সালের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘তখন আমি উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রী। তো আমার এ অভ্যাসের জন্য খেলাম মার। আমি মাকে বললাম, আশ্চর্য, আমি তো রাত তিনটার সময় দাঁত ব্রাশ করলামই। আর শুটিংয়ে যাওয়ার সময় তো আমি ব্রাশ করেই যাই।’
অনন্য রূপে সাবিনা রিমা। ছবি: প্রিয়.কম।
প্রশ্ন ছিল, মায়ের হাতে মার খেয়ে কেঁদেছিলেন কি না? উত্তরে হেসে একবারেই লুটোপুটি খেলেন সাবিনা। বললেন, ‘না, আমি আরও জেদ করেছিলাম, বলেছিলাম, কাল থেকে আমি আরও বেশি করে ব্রাশ করব না। আমাকে মারলে আমি কাঁদি না। আমার ঘাড়ের রগ ত্যাড়া আছে। আমাকে যদি কেউ বলে যে- এটা করা যাবে না, আমি সেটা ১০০ বার করি।’
তার এ বদঅভ্যাস পরিবর্তন করবেন কি না? জানতে চাইলে অভিনেত্রী সাবিনা রিমা বলেন, ‘পরিবর্তন করার কী দরকার! আমি দিনের মধ্যে ছয়বার দাঁত ব্রাশ করি। ওই ওতটুকু সময়ের জন্য দাঁত ব্রাশ করার কী দরকার! আমি যখন শাওয়ার নিতে যাই, তখন আমি দাঁত ব্রাশ করি, খাওয়ার পর আমি ব্রাশ করি, ঘুমানোর আগে করি। আর আমি একবারে দুবার করে ব্রাশ করি। মানে একবার করি, তার সঙ্গে সঙ্গেই দ্বিতীয়বার করি। মাছ খাওয়ার পর আমি দাঁত ব্রাশ করি। এটা আমার একটা নিয়ম। কেবল ওই সকালের সময়টা আমার অনেক অলস্য লাগে। মানে, ঘুম থেকে উঠে দাঁত ব্রাশ করা, উফ বিরক্তিকর!’