করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের চূড়ান্ত সময় পার করছে দেশ। চলমান লকডাউন সফল হলে আগামী ৪ থেকে ৫ দিন পর সংক্রমণ নিম্নমূখী হতে পারে বলে ধারণা করছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা। তবে তাদের শঙ্কা, বিধিনিষেধে শিথিলতা এলে সংক্রমণ কমবে না বরং আরো বেড়ে যেতে পারে।
দেশে করোনা সংক্রমণের প্রথম ঢেউয়ের চূড়ান্ত পর্যায় ছিল গত বছরের জুনে। চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিলে দ্বিতীয় ঢেউয়ের আঘাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা।
তবে মে মাস থেকে আবার সংকমণ কমতে থাকলেও, সংক্রমণের হার ৫ এর নিচে আসেনি। জুন মাস থেকে আবার বাড়তে থাকে শনাক্তের সংখ্যা। চলতি মাসে দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা, হার ও মৃত্যু আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে।
১ জুলাই থেকে দেশে কঠোর লকডাউন চলছে। এ কারণে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী ৪ থেকে ৫দিন পর সংক্রমণ নিম্নমূখী হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লকডাউনের সফলতার ওপর নির্ভর করছে সংক্রমণের গতিপ্রকৃতি।
এদিকে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়া, রাজশাহীসহ দেশের ১৮ জেলায় আরও ১৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে করোনায় ৮৯ এবং উপসর্গ নিয়ে ৮১ জন মারা গেছেন।
রাজশাহী মেডিকেলে করোনায় ৬ এবং উপসর্গ নিয়ে ৮ জন মারা গেছে। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে করোনায় ১৪ এবং উপসর্গ নিয়ে ১০ জন।খুলনার তিন হাসপাতালে করোনায় ৭ এবং উপসর্গে মারা গেছে ৩ জন। বগুড়ার তিন হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে আরও ১২ জন। চট্টগ্রামে করোনায় মারা গেছে ৩ জন। কিশোরগঞ্জে করোনায় ৬ এবং উপসর্গ নিয়ে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আসছে ঈদে মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে সংক্রমণের তীব্রতা বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
//ইয়াসিন//