প্রাইভেট ডিটেকটিভ ডেস্কঃ
দুর্নীতি মামলায় দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে সাজা দিলে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বলেছেন দলীয় প্রধানকে জেলে পাঠালে তিনিসহ দলের সিনিয়র নেতারা জেলে যেতে প্রস্তুত।
বিএনপি ও খালেদা জিয়াকে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে বাইরে রাখার ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন খন্দকার মোশাররফ।
বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় দেয়া হবে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি।
ওই মামলায় সঠিক রায় পাওয়া নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘মামলায় যদি ন্যায়ভিত্তিক সুবিচার, সাক্ষী-প্রমাণের ভিত্তিতে রায় দেয়া হয় তাহলে তিনি (খালেদা জিয়া) বেকসুর খালাস পাবেন। যদি অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে জেলে দেয়া হয় তাহলে শুরু হবে সরকার পতনের আন্দোলন। সেই আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন নিশ্চিত করে নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জনগণের সরকার গঠন করা হবে।’
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘মিথ্যা-বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলার মাধ্যমে বিএনপিকে বিভক্তি করা তো দূরের কথা দুর্বলও করা যাবে না। বিএনপি অত্যন্ত শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ একটি দল। চুল পরিমাণ ফাঁক নেই যেখানে সরকারের ষড়যন্ত্রের রেখা পৌঁছাতে পারে।’
খালেদা জিয়াকে নির্বাচনের বাইরে রেখে আবার একটি প্রহসনের নির্বাচন করতে মরিয়া সরকার এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘এ কারণে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা অস্বাভাবিক গতিতে পরিচালিত হয়েছে। তড়িঘড়ি করে রায়ের দিন ঘোষণা করা হয়েছে, যা কখনো আইনি কর্মকাণ্ড হতে পারে না। আমরা মনে করি এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কর্মকাণ্ড।’
মোশাররফ বলেন, ‘দেশে দুঃসময় ও ক্রান্তিকাল চলছে। সমগ্র বাংলাদেশ আজ শেখ হাসিনার বৃহৎ কারাগারে পরিণত। এ কারাগার থেকে দেশের মানুষ মুক্তি চায়। সেই মুক্তির দায়-দায়িত্ব যখন বিএনপিকেই নিতে হচ্ছে ঠিক তখন ক্ষমতাসীন সরকার জাতীয়তাবাদী দলকে দাবিয়ে রাখতে তাদের কণ্ঠরোধ করতে উঠেপড়ে লেগেছে। কেননা তারা (সরকার) ভালো করে জানে জনগণ একবার ভোট দেয়ার সুযোগ পেলে এ সরকার টিকতে পারবে না।’
বেগম খালেদা জিয়া ব্যতীত একাদশ জাতীয় নির্বাচন হবে না। নির্বাচন হতে দেয়া হবে না বলেও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।
ফখরুল ইসলাম রবিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা বক্তব্য দেন।