October 7, 2024, 3:31 am

সংবাদ শিরোনাম
স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমি রক্ষা করতে হলে প্রতিটি ঘরে সেনাবাহিনী তৈরি করতে হবে(পর্ব-৫) আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জামায়াত নেতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিনের স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে হলে সশস্ত্র ট্রেনিং এর প্রয়োজন। বৈষম্য বিরোধী অভিভাবক ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কমিটির (পর্ব- ৪) ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে গড়তে হলে সংস্কার প্রয়োজন=== বৈষম্য বিরোধী অভিভাব ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নাটোর পল্লী বিদ্যুত সমিতিতে অদ্ভুতুরে কাণ্ডকীর্তি ভোলা বোরহানউদ্দিনে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষকগণের ১০ম গ্রেডের দাবিতে মানববন্ধন শারদীয় দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের লক্ষে বগুড়ায় বিএনপির মতবিনিময় সভা! লক্ষ্মীপুরে কুমিরের আতঙ্কে এলাকাবাসী সাংবাদিক পুত্র আবির হোসেন অনন্ত’র জন্মদিন আজ বিল্লাল হুসাইন

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা

আন্তর্জাতিক  ডেস্কঃঃ

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় টানা ১১ দিন ভয়াবহ হামলা চালানোর পর অবশেষে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। স্থানীয় সময় শুক্রবার প্রথম প্রহরে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। রাত ২টায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার মধ্য দিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সহিংসতার অবসান ঘটল।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে এবারের সহিংসতায় ২৪০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২৩২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ১০০ জনের বেশি নারী ও শিশু। আহত হয়েছে ১ হাজার ৭০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি।

ইসরায়েলের দাবি, গাজায় তাদের হামলায় কমপক্ষে ১৫০ জন ‘সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে। অবশ্য ইসরায়েলি হামলায় সংগঠনের সদস্যদের প্রাণহানির বিষয়ে হামাস কোনো তথ্য দেয়নি। ইসরায়েলের ভাষ্য, সংঘাতে গাজা থেকে প্রায় ৪ হাজার রকেট ছোড়া হয়েছে। রকেটে ২ শিশুসহ অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছে। আর আহত হয়েছে অন্তত ৩৩০ জন।

সংঘাতে ইসরায়েল ও হামাস উভয় পক্ষ নিজেদের জয় দাবি করেছে। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরপরই গাজার রাস্তায় নেমে আসেন ফিলিস্তিনিরা। তারা স্বস্তি ও উল্লাস প্রকাশ করেন।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, অগ্রগতির ক্ষেত্রে এই যুদ্ধবিরতি প্রকৃত সুযোগ এনেছে।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের রাজনৈতিক নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভার বৈঠকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার ব্যাপারে ঘোষণা আসে। তারপরই হোয়াইট হাউসে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন বাইডেন।

ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার বিবৃতিতে বলা হয়, মিসরের দেওয়া সমঝোতা প্রস্তাব অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতিতে তারা সম্মত। তবে এই যুদ্ধবিরতি হবে ‘দ্বিপক্ষীয় ও শর্তহীন’।

তার আগে হামাসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছিলেন, তারা দু-এক দিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হতে পারে বলে মনে করছেন।

ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের চলমান সংঘাতের সূত্রপাত মূলত গত ১৩ এপ্রিল। পবিত্র রমজান মাসের প্রথম রাতে জেরুজালেমে দামেস্ক গেট বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনায় সেদিন পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলি পুলিশের সঙ্গে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। এরপর থেকেই উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এ উত্তেজনা চরমে পৌঁছায় পূর্ব জেরুজালেমের শেখ জারাহ এলাকায় কয়েকটি ফিলিস্তিন পরিবারকে উৎখাতের মাধ্যমে।

২ মে শেখ জারাহ এলাকায় ইসরায়েলি পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয়। উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে শেখ জারাহ এলাকায় ফিলিস্তিনি পরিবারগুলোকে উৎখাতের বিষয়ে ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্ট ৯ মে শুনানি পিছিয়ে দেন। তবে এতে উত্তেজনা থামেনি। ১০ মে পবিত্র আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এরপর হামাস রকেট হামলা চালালে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন থেকে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। হামাসও পাল্টা জবাব দিতে থাকে।

ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে এবারের সংঘাতকে বলা হচ্ছে ২০১৪ সালের পর সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাত। ২০১৪ সালের ওই সংঘাতে ২ হাজার ২৫১ ফিলিস্তিনি নিহত হন। ইসরায়েলের পক্ষে প্রাণহানি ছিল ৭৪, যাদের অধিকাংশই সেনাসদস্য।

//ইয়াসিন//

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর