October 9, 2024, 11:23 am

সংবাদ শিরোনাম
আসন্ন শারদীয়া দুর্গাপূজা শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য প্রশাসন ও জনগণের প্রীতি আহ্বান – পর্ব ৮ প্রশাসন সংস্থা ব্রিটিশ আইনের মাধ্যমে শাসন ব্যবস্থা চলতে পারে না-পর্ব ৭ মাতৃভূমির এক ইঞ্চি জমি ছাড় দেওয়া হবে না, পর্ব ৬ স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমি রক্ষা করতে হলে প্রতিটি ঘরে সেনাবাহিনী তৈরি করতে হবে(পর্ব-৫) আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জামায়াত নেতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিনের স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে হলে সশস্ত্র ট্রেনিং এর প্রয়োজন। বৈষম্য বিরোধী অভিভাবক ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কমিটির (পর্ব- ৪) ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে গড়তে হলে সংস্কার প্রয়োজন=== বৈষম্য বিরোধী অভিভাব ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নাটোর পল্লী বিদ্যুত সমিতিতে অদ্ভুতুরে কাণ্ডকীর্তি ভোলা বোরহানউদ্দিনে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষকগণের ১০ম গ্রেডের দাবিতে মানববন্ধন

চ্যালেঞ্জিং চরিত্রের সন্ধানে নওশাবা

চ্যালেঞ্জিং চরিত্রের সন্ধানে নওশাবা

ডিটেকটিভ বিনোদন ডেস্ক

দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী কাজী নওশাবা। ছোট পর্দা ও চলচ্চিত্র দু’মাধ্যমেই সাবলীল অভিনয়ে তিনি সমাদৃত হয়েছেন। দর্শকদের পছন্দের অভিনেত্রীদের খাতায় নাম লিখিয়ে নিয়েছেন তিনি। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জিং চরিত্রের জন্য নির্মাতারাও তার ওপর আস্থাশীল। তিনিও সেই বিশ্বাসের প্রমাণ দেন তার অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। অভিনয়ের জন্য এই অভিনেত্রী পর্দা ভাগ করেন না।

অভিনয়ের ক্ষুধা তাকে সব সময় তাড়িত করে। বৈচিত্র্যময় চরিত্রের মধ্য দিয়ে দর্শকদের মনে দাগ কাঁটা একজন শিল্পীর প্রথম লক্ষ হওয়া উচিত বলে মনে করেন এ পর্দাকন্যা। ছোট পর্দা কিংবা চলচ্চিত্র সেটি যেকোনো মাধ্যমেই হতে পারে বলে জানান তিনি। নওশাবা বলেন, আমি সব সময় সেই চরিত্রে অভিনয় করতে চাই, যে চরিত্রে আগে আমাকে কিংবা অন্য কাউকে দেখা যায়নি। বিভিন্ন চরিত্রে উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে প্রকৃত শিল্পী সত্তার বিকাশ ঘটে। সেই ক্ষুধা থেকে আমি সব সময় নতুন চরিত্রের সন্ধানে থাকি। ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবিতে আমি অন্তঃসত্ত্বার চরিত্রে অভিনয় করেছি। এরকম বিভিন্ন চরিত্রে দর্শক আমাকে এরইমধ্যে দেখেছে।

সেই চরিত্রেগুলোর জন্য সবার কাছে প্রশংসিত হয়েছি। শনিবার রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে ভারতের প্রখ্যাত পরিচালক অরিন্দম শীলের পরিচালনায় ‘বালিঘর’ নামের যৌথ প্রেযোজনার নতুন ছবিতে চূড়ান্ত হন নওশাবা। এই ছবির বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবারই প্রথম যৌথ প্রযোজনার বড় একটি প্লাটফর্মে কাজ করার সুযোগ হলো। বাংলাদেশের বেঙ্গল ক্রিয়েশনসের সঙ্গে ছবিটি প্রযোজনা করছে পরিচালক অরিন্দম শীলের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান নাথিং বিয়ন্ড সিনেমা। ছবিটিতে আমি জয়া চরিত্রে অভিনয় করতে যাচ্ছি। কথা সাহিত্যিক সূচিত্রা ভট্টাচার্যের ‘ঢেউ আসে ঢেউ যায়’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হবে ‘বালিঘর’ ছবিটি। আসছে এপ্রিল মাস থেকে এই ছবির কাজ শুরু হবে। সাত বন্ধুর কাহিনি নিয়েই এই ছবির বিষয়বস্তু।

এক কথায় বলা যায় এটি একটি বন্ধুত্বের গল্প। ভারতের আবির, রাহুল, পার্নো মিত্রের পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে আরিফিন শুভ ও তিশা এই ছবিতে থাকছেন। আশা করি অরিন্দম দার সঙ্গে এই কাজটি আমার অভিনয় জীবনের একটি সিগনেচার ওয়ার্ক হয়ে থাকবে। এই ছবিটি যৌথ প্রযোজনার সঠিক নিয়ম মেনেই নির্মাণ হবে, এটি জেনে আরো বেশি ভালো লেগেছে।

এটি ছাড়াও ওয়াহিদ তারেকের ‘আলঙ্গা নঙ্গর’, এন রাশেদ চৌধুরীর ‘চন্দ্রাবতী’, তানিম রহমান অংশুর ‘স্বপ্নবাড়ি’, মিজানুর রহমান লাবুর ‘নাইনটি নাইন মেনশন’ শীর্ষক ছবিগুলো এই অভিনেত্রীর হাতে রয়েছে। নতুন বছরে এই চলচ্চিত্রগুলো দর্শক দেখতে পাবে বলে তিনি আশা করছেন। প্রতিটি ছবিতে এই গ্ল্যামারকন্যাকে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে দেখা যাবে বলেও জানান।

সম্প্রতি এই অভিনেত্রীর ‘কবর’ শীর্ষক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেয়েছে। পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের বিখ্যাত কবিতা ‘কবর’ অবলম্বনে এটি নির্মিত হয়েছে। এটি নির্মাণ করেছেন রাশিদ পলাশ। এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে নওশাবা প্রধান চরিত্র ‘দাদি’ রূপদান করেছেন। ছবিতে তার পুত্রবধূ হয়েছেন অভিনেত্রী চম্পা। যার অভিনয় দেখে দেখে বড় হয়েছেন সেই প্রিয় অভিনেত্রীর শাশুড়ি চরিত্রে অভিনয় করা নওশাবার জন্য বড় প্রাপ্তি বলে তার ভাষ্য। নওশাবা বেশ উচ্ছ্বসিত হয়ে বলেন, আমি কখনো ভাবিনি এমন একটি চরিত্রে অভিনয় করতে পারবো। নির্মাতার কাছ থেকে এই চরিত্রের কথা শুনেই আমি রাজি হয়ে যাই। এই সুযোগটি হয়তো আমি আর কখনো পাবো না।

চলচ্চিত্রের পাশাপাশি ছোট পর্দায়ও নিয়মিত অভিনয় করছেন নওশাবা। গেল শুক্রবার থেকে দুরন্ত টিভিতে তার উপস্থাপনায় শুরু হয়েছে ‘স্বপ্ন আঁকার দল’ নামে একটি শিশুদের অনুষ্ঠান। শিশুদের অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় কেন প্রশ্ন করলে নওশাবা বলেন, বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটতে আমার অনেক ভালো লাগে। এটি অন্যরকম একটি অনুভূতি।

এটি করার আরো একটি কারণ হলো শিশুদের প্রতি দায়বদ্ধতা। এটি ‘স্বপ্ন আঁকার দল’ এমন একটি দল, যারা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে শিশুদের ইচ্ছেমতো শ্রেণিকক্ষ সাজিয়ে দেয়। সেখানে আমাদের দলের সঙ্গে যোগ দেয় পুরো স্কুলের শিক্ষার্থীরা। সবাই মিলে একটা ক্লাসরুম সাজাই, ছবি আঁকি। কাজের ফাঁকে ফাঁকে শিশুরা গান, কবিতা ও নাচ পরিবেশন করে।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর