September 22, 2024, 5:00 am

সংবাদ শিরোনাম
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে ফয়জুল আজীম নোমান এর যোগদান জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে শহীদ জিয়া ও সকল শহীদদের স্মরণে স্বাধীনতা কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি কু‌ড়িগ্রা‌মের উলিপু‌রে বিদ‌্যুৎস্পৃষ্টএক যুব‌কের মৃত্যু যশোরে বালিচাপা অবস্থায় প্রতিবন্ধী যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে ৪০ পিস ইয়াবা ও ১ টি ভ্যান জব্দসহ ২ জন মাদক কারবারি গ্রেফতার জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত দুর্নীতি বিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফর রহমান মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার বন্ধে কুড়িগ্রামে জলবায়ু ধর্মঘট খুলনা দৌলতপুর রেলস্টেশন ও মহসিন মোড় কাঁচাবাজারে এলাকাবাসীর উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা অভিযান

কেরানীগঞ্জে করোনা পরিস্থিতিতে কিন্ডারগার্টেন ও প্রাইভেট শিক্ষকরা পরিবার নিয়ে বিপাকে

শাহিন আহম্মেদ,কেরানীগঞ্জ (ঢাকা)প্রতিনিধিঃ

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষায় দেশব্যাপী বন্ধ রয়েছে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গত ১৭মার্চ থেকে দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন সরকার। ফলে এই দীর্ঘ ৩ মাসের টানা ছুটিতে বিপাকে পড়েছে কেরানীগঞ্জে প্রাইভেট বিদ্যালয় বা কিন্ডারগার্টেনের  শিক্ষকরা।
দেশের অন্যতম প্রধান  শিক্ষাখাতের এক বিরাট অংশ চলে বেসরকারি শিক্ষকদের দ্বারা। প্রাইভেট বিদ্যালয়ের বা কিন্ডারগার্টেনে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল বিশাল জনগোষ্ঠী। কিন্তু  দীর্ঘ এই লক ডাউনে  বিপক্ষে রয়েছে প্রাইভেট স্কুল বা কিন্ডারগার্টেনগুলোর শিক্ষকরা। নামমাত্র বেতনে চাকরি করা এসব শিক্ষকরা অনেকেই এখন অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ছুটি থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের বেতন বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে এসব শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন। ফলে কোনো দিক থেকেই তারা উপার্জন করতে পারছে না। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষকদের অর্থবিত্ত না থাকলেও সমাজে তারা শিক্ষক হিসেবে সম্মানীয়। ফলে তারা না পারছে লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রাণ নিতে, না পারছে মুখে ফুটে কাউকে কিছু বলতে।  ফলে তাদের সংসারের ব্যয় ভার বহন করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এই চরম দুঃসময়ে তাদের দিকে তাকানোর কেউ নেই।
গতকাল শুক্রবার নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন  শিক্ষক বলেন, কেজি স্কুলে শিক্ষকতা ও প্রাইভেট পড়িয়ে কোনো রকম পরিবারের খরচ সামাল দিচ্ছি। এমনিতেই কেজি স্কুল থেকে ঠিকভাবে বেতন পাই না তার উপর করোনায় লকডাউন। ফলে আর্থিক অস্বচ্ছল শিক্ষকদের পরিবারে অভাব অনাটন চলছে। শিক্ষিত মানুষ চক্ষু লজ্জার ভয়ে কাউকে বলতেও পারছি না আবার সইতেও পারছি না। তাই সরকার ও সমাজের বিত্তবান মানুষেরা যেন আমাদের কষ্টটা একটু বোঝার চেষ্টা করেন।
কেজি স্কুলের  মোঃ ওবায়দুল  নামে এক শিক্ষক বলেন করোনার কারনে স্কুল বন্ধ। স্কুলের মালিক ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে বেতন আদায়ের আগে করোনার কারণে সরকার স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে। তাই স্কুলের ফান্ডের টাকা না থাকায় মার্চ-এপ্রিল মাসের বেতন পাইনি এখনো। চলতি মাসেও স্কুল খোলার সম্ভাবনা নেই। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন মাননীয়  প্রধানমন্ত্রী।
তরুণ এই শিক্ষক আরও বলেন, তিন মাসের ভাড়া জমে গেছে, বাড়িওয়ালা বাড়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। ঐই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সরকারি-বেসরকারি সাহায্য যাচ্ছে, আর দেশের নাগরিক ও  জাতি গড়ার কারিগর হয়েও উচ্চমহলে চোখে পড়ছে না আমাদের মানবেতর দৃশ্য
বাঘৈর ছাত্রবন্ধু কিন্ডারগার্টেনের  অধ্যক্ষ মোঃ মোতাহার হোসেন বলেন, আমাদের কেজি স্কুলের শিক্ষকরা সরকারি কোনো সুযোগ সুবিধা পায়না। এই দুর্যোগ মুহূর্তে এখনো পর্যন্ত আমাদের শিক্ষকরা সরকারি বা বেসরকারিভাবে কোনো ধরনের সহযোগিতা না পাওয়ায় তাদের পরিবারে হাহাকার বিরাজ করছে। চলমান দুর্যোগে আমাদের শিক্ষক-কর্মচারীদের সরকারি সহায়তার আবেদন জানাচ্ছি।

প্রাইভেট ডিটেকটিভ/১৩ জুন ২০২০ /ইকবাল

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর