মোঃ সুলায়মান হোসেন (সুমন)মুলাদী(বরিশাল)প্রতিনিধিঃ
বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলাধীন বোয়ালিয়া ময়দান জামে মসজিদের ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক মসজিদ ভিত্তিক গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের দেওয়া অনুদানের টাকা ভূয়া ইমাম ও ভূয়া সভাপতি সাজিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।ঘটনাসূত্রে জানা যায়- সস্প্রতি ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক মসজিদ ভিত্তিক গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের ইমামদের জন্য বরাদ্দকৃত অনুদানের টাকা মসজিদের প্রকৃত ইমাম মাওলানা মোঃ আবুল কালাম এর পরিবর্তে মাও: আব্দুল মালেক প্রতারনা করে নিজেকে ইমাম দেখিয়ে এবং মসজিদের সভাপতি মাও: নাসির মৌলভী এর পরিবর্তে অন্য একজনকে সভাপতি দেখিয়ে অনুদানের টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছেন মাদ্রাসা সুপার মাও: আব্দুল মালেক মর্মে অভিযোগ করেন বোয়ালিয়া ময়দান জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোঃ আবুল কালাম। স্থানীয় মসজিদের সভাপতি মাও: নাসির উদ্দিন মৌলভীর ছেলে মো: মহসিন প্রতিনিধিকে জানান- মাও: আব্দুল মালেক সরকারী অনুদানের টাকা ভূয়া সভাপতি ও নিজেকে ইমাম দেখিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। ঘটনাটি এখানেই সীমাবদ্ধ থাকত, কিন্তু মসজিদের অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি জানাজানি হলে বেড়িয়ে আসে কেচো খুরতে সাপ। মাও: আব্দুল মালেক স্থানীয় মসজিদ এবং মাদ্রাসাকে পুঁজি করে নিয়োগ বানিজ্যের মাধ্যমে মোটা অংকের অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করে আসছেন বলে জানান স্থানীয় কয়েকজন। মসজিদের সভাপতি মাও: নাসির উদ্দিন মৌলভীর ছেলে মো: মহসিন প্রতিনিধিকে বলেন- মসজিদের পাশের মাদ্রাসায় আমার বোনকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য মোটা অংঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ করেছে মাও: আব্দুল মালেক। এভাবে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে, কিন্তু কাউকে চাকুরী না দিয়ে সকলের সাথে প্রতারনা করে অর্থ আত্মসাৎ করেছে এবং নিজের স্ত্রী, ভাইয়ের ছেলে, চাচাতো ভাইয়ের ছেলেসহ নিকটাত্বীয়দের মাদ্রাসায় চাকুরী দিয়েছে। এবিষয়ে অভিযুক্ত মাও: আঃ মালেক এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- নাসির মৌলভী অসুস্থ ছিল, তাই তার সম্মতিক্রমে অফিসিয়াল ফরমালিটি রক্ষা করার জন্য এটা জমা দিয়েছি, এটার স্থায়ী কোন রেজুলেশন হয়নি। আমিও ঈমামের অনুপস্থিতিতে ঈমামতি করি। মহসিন আমার ছাত্র- তারা নিয়োগ বানিজ্যের বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসেও অভিযোগ দিয়েছিল। তারা আমাকে টাকা দিয়েছে তার কোন সাক্ষি-প্রমান থাকলে আমি টাকা ফেরত দেব। তার বোন স্বেচ্ছায় মাদ্রাসার চাকুরী ছেরেছে। তারা আমার মান-সম্মান নষ্ট এবং প্রতিষ্ঠান ধ্বংশ করার জন্য সাংবাদিক দিয়ে হয়রানী এবং ফেইজবুকে দিয়ে হয়রানী করে আসছে। এঘটনায় সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবী করছেন ভূক্তভোগীসহ এলাকার লোজকন।
ডিটেকটিভ/১জুন ২০২০/ইকবাল