রুহুল আমীন খন্দকার, ব্যুরো প্রধান :
রাজশাহীর তানোরে বিভিন্ন এলাকায় মহামারী করোনা ভাইরাস উপেক্ষা করে কোনো নিয়ম নিতির তোয়াক্কা না করোই চলছে মাঠে-ঘাটে আড্ডা। আর মোবাইলে লুডু গেমসহ দলবেধে চলছে ফুটবল খেলা, মুখে পরছেনা মাক্স’ যেন দেখার কেউ নেই। মঙ্গলবার (২১শে এপ্রিল) সন্ধা ৬টা ২০ মিনিটে দেখা যায় এমনই চিত্র। করোনায় চলমান পরিস্থিতিতে ঘরবন্দি না হয়ে রাষ্ট্রীয় আইনকে বিদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলছে খেলার মাঠসহ বিভিন্ন স্থানে আড্ডা। যেখানে ২ জনের অধিক মানুষ একত্রিত হওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য প্রশাসনিক ভাবে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। কিন্তু কতিপয় জণসাধারণ সেই আইনটিকে অমান্য করে প্রাণঘাতী করোনাকে নিজে থেকে ডেকে নিয়ে আসছে। এতে করে শুধু নিজেরাই নয় পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ সমাজের সবার মাঝে করোনা ছড়িয়ে পড়ার ব্যাপক আশংক্ষা রয়েছে, বলে মনে করছেন সুশীল সমাজের সচেতন ব্যক্তিরা। সরজমিন অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায়, তানোর উপজেলা সদরের ডাকবাংলো মাঠে লোকজনের সমাগম দিনকে দিন যেন বেড়েই চলেছে। গোটাবিশ্ব যেখানে করোনা ভাইরাস আতংঙ্কে দিশেহারা সামরিক বাহিনী (সেনাবাহিনী) থেকে শুরু করে দেশের অন্যান্য প্রশাসন গুলো এর বিস্তার রোধে রয়েছে কঠোর অবস্থানে। সে সময় প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে কিছু অসচেতন ও একরোখা মানুষ বিশৃংঙ্কলখোল ভাবে উপজেলা সদর থেকে শূরু করে বিভিন্ন প্রত্যান্ত অঞ্চলেও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতন না হয়ে দিন দিন এই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, এ যেন দেখেও দেখার কেউ নেই। কোনো সচেতন নাগরিক যদি এদের বোঝানোর চেষ্ট করেন সেটাও শুনছে না। বরং নানান ভাবে এই অসচেতন লোক গুলো তাদেরকে যারা বোঝাচ্ছেন তাদের কেই উল্টো হেউ প্রতিপূর্ণ করে কথা বলছেন। এ বিষয়ে এলাকার বেশ কয়েকজন সচেতন সৃশীল সমাজের নাগরিকের সাথে কথা হলে তারা বলেন, এহেন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের প্রশাসন করোনা প্রতিরোধে বিভিন্নভাবে পদক্ষেপ নিয়েছে যা অত্যন্ত প্রশংষণীয়। তারপরেও বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রশাসনকে এই অসচেতন এলাকা গুলো চিহ্নিত করে অতি দ্রুততার সাথে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার উদ্ধারত্ব আহ্বান জানান। পাশাপশি এ অসচেতন মানুষ গুলোকে দেশের এই রকম পরিস্থিতিতে উশৃঙ্খল ভাবে না চলে করোনা প্রতিরোধে নিজ নিজ ঘরে থাকাসহ রাষ্ট্রীয় সকল নির্দেশনাকে মেনে চলার অনুরোধ জানান এই সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দরা।