২৫ জানুয়ারি ২০২০ ইং তারিখ শনিবার রাজস্থানের বিধানসভা ভবনে ওই প্রস্তাবটি পাস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে স্লোগান দিতে শুরু করেন কয়েকজন বিজেপি বিধায়ক।গত ১১ ডিসেম্বর রাজ্যসভায় সিএএ পাশের পর থেকে এখন পর্যন্ত এই আইনের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে ১৪৩ টি আবেদন জমা পড়েছে। আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ব্যক্তি ও রাজনৈতিক দল।চলতি সপ্তাহের শুরুতে, সুপ্রিম কোর্ট সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার আবেদন খারিজ করে দেয়। আদালত বলেছে, তারা সরকার পক্ষের জবাব না শুনে সিএএ নিয়ে কোনও স্থগিতাদেশ দেবে না। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রের জবাব তলব করেছে দেশের শীর্ষ আদালত।এদিকে আগামী সোমবার চতুর্থ রাজ্য হিসেবে সিএএ বিরোধী প্রস্তাব বিধানসভায় তুলতে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ। প্রথম দিকে রাজ্যের বিরোধী দলগুলো এই প্রস্তাব তুলতে চাইলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকচ করে দেন। চলতি সপ্তাহে সবাইকে অবাক করে দিয়ে সিএএ বিধানসভায় প্রস্তাব তোলার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দেন। এর ফলে তিনি বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েন।উল্লেখ্য, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে (সিএএ) আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ২০১৫ সালের আগে আগত অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সমালোচকদের মতে, এই আইন বৈষম্যমূলক এবং সংবিধানে বর্ণিত দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির পরিপন্থী।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২৬ জানুয়ারি ২০২০/ইকবাল