বনপাড়া পৌর নির্বাচন; মাধ্যমিক পার হয়নি ৩৭ প্রার্থীর
ক্রাইম রিপোর্টার
বনপাড়া পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে ৬১ প্রার্থীর মধ্যে ৩৭ জনই মাধ্যমিকের গণ্ডি পার হতে পারেননি। প্রথম শ্রেণীর এ পৌরসভার কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে শুধুমাত্র ১০ নং ওয়ার্ডের আতাউর রহমান ও মাসুদ উর রহমান এবং ৭ নং ওয়ার্ডের আব্দুল্লাহ আল মামুন মাষ্টার্স পাস।
এছাড়া কামিল পাশ রয়েছেন তিনজন।
প্রার্থীদের হলফনামা সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনে সাধারণ ওয়ার্ডে ৪৮ জন ও সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে ১৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে ১২ জন স্বাক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন। এছাড়া স্বশিক্ষিত রয়েছেন আটজন। ৮ম শ্রেণী উত্তীর্ণ প্রার্থী ১৭ জন। ১০ জন এসএসসি ও ৬ জন এইচএসসি পাস। আর স্নাতক পাশ মাত্র দুই জন। সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে চারজন ছাড়া কেউই এসএসসির গণ্ডি পেরোতে পারেননি।
১ নং ওয়ার্ডে আশরাফুল ইসলাম স্নাতক, অন্য দুজন মাধ্যমিকের নীচে।
২ নং ওয়ার্ডে আতাউর রহমান মৃধা এসএসসি পাশ, অন্য দুজন ৮ম শ্রেণী ও একজন স্বাক্ষরজ্ঞান। ৩ নং ওয়ার্ডে আব্দুল মজিদ কামিল ও ঈমান আলী এসএসসি পাশ, অন্য দুজন স্বশিক্ষিত, ৪ নং ওয়ার্ডের জিয়াউর রহমান এসএসসি, আসলাম হোসাইন স্বাক্ষরজ্ঞান, ৫ নং ওয়ার্ডের আশরাফুল আলম ও মিজানুর রহমান কামিল, জহিরউদ্দিন এইচএসসি পাশ। ৬ নং ওয়ার্ডে মোস্তাফিজুর এইচএসসি, সাইফুল ইসলাম এসএসসি। ৭ নং ওয়ার্ডে আব্দুল্লাহ আল মামুন এমএ, একজন এইচএসসি ও একজন এসএসসি, অন্য পাঁচজন মাধ্যমিকের নীচে।
৮ নং ওয়ার্ডে সিদ্দিকুর রহমান ছাড়া কেউ এসএসসি পাস করেননি। ৯ নং ওয়ার্ডে মোহিত কুমার সরকার ছাড়া অন্য দুজন স্বাক্ষরজ্ঞান। ১০ নং ওয়ার্ডে দুজন স্নাতকোত্তর ও একজন এসএসসি পাস। অন্য তিনজনের কেউ মাধ্যমিক পর্যন্ত পৌঁছতে পারেনি। ১১ নং ওয়ার্ডে একজন এসএসসি ও দুজন ৮ম শ্রেণী। ১২ নং ওয়ার্ডে পাঁচ জন ৮ম শ্রেণী ও একজন স্বাক্ষরজ্ঞান। সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে ১ নং ওয়ার্ডে তিনজনের মধ্যে একজন এইচএসসি, একজন এসএসসি ও একজন ৮ম শ্রেণী পাশ। ২ নং ওয়ার্ডে মোছাঃ শরিফুন্নেসা স্নাতক, অন্য একজন এইচএসসি ও একজন স্বাক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন। ৩ নং ওয়ার্ডের চারজনের কেউই মাধ্যমিক পর্যন্ত পৌঁছতে পারেননি। ৪ নং ওয়ার্ডে নমিতা গমেজ ছাড়া অন্য দুজন এসএসসি পাশ করেননি।
৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কলেজ শিক্ষক নাজমুল ইসলাম বলেন, নাগরিকবান্ধব আধুনিক পৌরসভা গঠন ও স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে হলে নির্বাচনে উচ্চ শিক্ষিত প্রার্থীদের এগিয়ে আসা উচিৎ। অন্যথায় প্রকৃত নাগরিক সুবিধা থেকে শহরবাসী বঞ্চিত হবেন।