December 23, 2024, 4:44 pm

সংবাদ শিরোনাম
গৌরনদী মডেল থানায় বরিশাল জেলার বিদায়ী পুলিশ সুপারকে বিদায়ী সংবর্ধনা জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে গৌরনদীতে নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত পটুয়াখালীতে অসামাজিক কাজে জরিত থাকার অভিযোগে নারী সহ আটক-৩। টঙ্গি ইজতেমার মাঠে হামলার প্রতিবাদ খুনিদের বিচার ও কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবীতে হিলিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে গৌরনদীতে নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত পটুয়াখালীতে ধানক্ষেত থেকে শঙ্খিনী সাপ উদ্ধার দিনাজপুরে “গমের জাত উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তায় স্পীড ব্রীডিং-এর ভুমিকা” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত পুলিশ ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়, পুলিশ ও জনগণ একে অন্যের পরিপূরক-রেজাউল করিম মল্লিক দলের পরিবর্তন হয়েছে চরিত্রের পরিবর্তন হয়নি শায়খে চরমোনাই মুফতি ফয়জুল করীম আপনারা শান্তিতে থাকুন আমরা চাই,আমাদেরকেও আপনারা শান্তিতে থাকতে দিন- ডা. শফিকুর রহমান

চালু হলো ‘শেখ হাসিনা টেকনোলজি পার্ক’

চালু হলো ‘শেখ হাসিনা টেকনোলজি পার্ক’

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিকাশের সুফল দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পৌঁছে দিতে যশোরে যাত্রা শুরু হল ‘শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি’ পার্কের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল রোববার ঢাকায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৩০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ টেকনোলজি পার্কের উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধীন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আমরা শুরু করেছি, তৃণমূল পর্যায়ে চলে যাওয়াৃ শুধু রাজধানী ভিত্তিক নয়, আমাদের লক্ষ্য তৃণমূল পর্যায়ে যাওয়া।”

সফটওয়্যার তৈরি, কল সেন্টার সেবা, ফ্রিল্যান্সিং, গবেষণা ও উন্নয়নসহ বিভিন্ন কাজ হবে এই পার্কে।  সেখানে খুলনা বিভাগের দশ জেলার পাঁচ হাজার তরুণের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে বলে সরকার আশা করছে।

২০১০ সালের ডিসেম্বরে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই জেলায় বিশ্বমানের একটি তথ্যপ্রযুক্তি পার্ক স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তার চার বছরের মাথায় ২০১৪ সালের এপ্রিলে বেজপাড়া শংকরপুর এলাকায় ২ লাখ ৩২ হাজার বর্গফুট জমির ওপর ‘শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি’ পার্কের নির্মাণ কাজ শুরু হয়।

এ সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে ১৫ তলার মূল ভবনের পাশাপাশি তিন তারকা মানের একটি ১২তলা ডরমেটরি ভবন রয়েছে। জাপানি উদ্যোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী ডরমেটরি ভবনের ১১তলায় তৈরি করা হয়েছে আন্তর্জাতিক মানের একটি জিম।

সেই সঙ্গে রয়েছে আধুনিক কনভেনশন সেন্টার ও আন্ডারগ্রাউন্ট পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে করা হয়েছে ৩৩ কেভিএ পাওয়ার সাব- স্টেশন।

ইতোমধ্যে জাপানের দুটি কোম্পানিসহ ৫৫টি কোম্পানিকে পার্কে জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। স্টার্টআপ কোম্পানি হিসেবে তরুণদের বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে পুরো একটি ফ্লোর।

তথ্যপ্রযুক্তি খাতের রপ্তানি আয় ২০২১ সালের মধ্যে পাঁচ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য পূরণে এই পার্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে সরকার আশা করছে।

দেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে হাই টেক পার্ক করার পরিকল্পনার কথা এ অনুষ্ঠানে আবারও তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি তো মনে করি এটা আমাদের রপ্তানিতে সবথেকে বড় অবদান রাখতে পারবে।”

তথ্য-প্রযুক্তি খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে তুলে ধরেন এবং এ বিষয়ে লক্ষ্য স্থির করে প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

তিনি বলেন, “আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি এলাকাকে সুনির্দিষ্ট করেই তৈরি করতে চাচ্ছি এবং সেই কাজটি আমরা করে যাচ্ছি।”

যশোরে নিজের নামে গড়ে তোলা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের উদ্বোধনে শেখ হাসিনা বলেন, “বহু লোকের কর্মসংস্থান হবে; পাশাপাশি আমাদের দেশটাকে আধুনিক প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন করে গড়ে তোলার একটা ধাপ অতিক্রম করতে পারলাম।”

অন্যদের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর