বাংলাদেশের সম্ভাবনা তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যাপক
ডিটেকটিভ প্রযুক্তি ডেস্ক
তথ্যপ্রযুক্তি ও এ-সংক্রান্ত সেবা খাতে (আইটি-আইটিইএস) বাংলাদেশের সম্ভাবনা ব্যাপক। এ ক্ষেত্রটিতে বিশ্বের অন্যতম প্রবৃদ্ধি হার দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশে। তাই এ খাতে বিদেশি বিনিয়োগের ব্যাপক সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে এক সংবাদ সম্মেলনে এ গবেষণা সম্পর্কে তথ্য জানানো হয়। আয়োজনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এ বছরের শেষ নাগাদ স্থানীয় আইটি-আইটিইএস থেকে ৯০ কোটি থেকে ১১০ কোটি মার্কিন ডলার বা নয় হাজার কোটি টাকা আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। ২০২৫ সাল নাগাদ তা প্রায় ৪৮০ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছাবে। বাংলাদেশের আইটি-আইটিইএসের স্থানীয় খাত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান এভারেস্ট গ্রুপের একটি গবেষণা পত্রে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
এভারেস্ট গ্রুপের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রযুক্তি সম্ভাবনাকে বিশ্বে তুলে ধরতে এ গবেষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, সরকার ও বেসরকারি তথ্য বিশ্লেষণ করে নিজস্ব এ গবেষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম, এখানকার বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের আগ্রহ সব মিলিয়ে বাংলাদেশের ইতিবাচক সম্ভাবনার বিষয়গুলো প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, ২০২০ সাল নাগাদ তথ্য প্রযুক্তি সেবা খাতে আয় ২৩০ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছাবে। বাংলাদেশে হার্ডওয়্যার ও তথ্য প্রযুক্তি সেবা খাতের দ্রুত বৃদ্ধি এ খাতকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে। বাংলাদেশে কম খরচে ব্যবসা করার সুবিধা এবং কম খরচে কর্মী পাওয়া যাবে। এ ছাড়া দক্ষ কর্মী তৈরিতে বাংলাদেশের আগ্রহ দেশটিকে আরও সম্ভাবনাময় করে তুলছে।
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোতে আইটি-আইটিএস সেবা দেওয়া হচ্ছে।
প্রতিবেদন প্রকাশের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেন, প্রতিবেদনে যে বিষয়গুলো উঠে এসেছে তা আমাদের উন্নয়ন পরিকল্পনায় কাজে লাগবে। এ ধরনের নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন দেশের ভাবমূর্তি বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণে কাজে লাগবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা এ প্রতিবেদনকে দরকারি বলে উল্লেখ করেন। এ ধরনের প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তিখাতের বিদেশী প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশর প্রতি আগ্রহী করে তুলতে সহায়ক হবে বলে মনে করেন তাঁরা।