ফরিদপুরে ৩৫ হাজার হেক্টোর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ শুরু
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
ফরিদপুর জেলার চলতি রবি মৌসুমে মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ শুরু হয়েছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিতে কার্তিক মাসের প্রথম সম্পাহ থেকে শুরু হয়েছে মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না এলে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হবে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। নতুন পেঁয়াজ উঠার সময় বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি না করার আহবান চাষীদের। ফরিদপুর জেলার চরঞ্চলের চাষীরা এখন মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদে ব্যস্তসময় পার করছেন। পেঁয়াজ আবাদে বেশি লাভ হওয়ায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ফরিদপুর অঞ্চলে পেঁয়াজের আবাদ। উন্নত জাত এবং মানসম্পন্ন পেঁয়াজ উৎপাদনের জন্য ফরিদপুর জেলা দেশের শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। মৌসুমের শুরুতেই অতিবৃষ্টির কারণে কিছুটা ক্ষতির সম্মুখিন হয় চাষীরা। বৃষ্টির পানি শুকিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে চাসীরা পুন:রায় পুরোদমে পেঁয়াজ আবাদে ব্যস্তসময় পার করছেন চাষীরা। চাষীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন নতুন করে পেঁয়াজের বীজ রোপন, পেঁয়াজ খেতে পানি দেওয়া ও খেত পরিচর্যার কাজে। ফরিদপুর জেলায় তিন ধরনের পেঁয়াজের আবাদ হয়ে থাকে। মুড়িকাটা পেঁয়াজ, হালি পেঁয়াজ ও দানা পেঁয়াজ।
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায় চলতি বছর ফরিদপুর জেলায় ৩৫হাজার কেক্টোর জমিতে পেঁয়াজ আবাদের লক্ষমাত্র ধরা হয়েছে। এখন চলছে মুড়িকাঠা পেয়াজের আবাদ। ইতোমধ্যেই প্রায় দুই হাজার হেক্টোর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ সম্পন্ন হয়েছে।
অতিবৃষ্টির কারণে প্রথম দিকে আমাদের পেঁয়াজ কিছুটা নষ্ট হয়ে গেছে। বৃষ্টির পানি শুকানোর পরে নতুন করে ধার–দেনা করে পেঁয়াজের আবাদ করেছি। আসা করছি ভাল ফলন পাব। বর্তমান বাজার দর থাকলে আমরা লাভবান হব।
ফরিদপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আবুল বাসার মিয়া, ফরিদপুরে তিন ধরনের পেঁয়াজ হয়। মুড়িকাটা পেঁয়াজ, হালি পেঁয়াজও দানা পেঁয়াজ। প্রথম দিকে পেঁয়াজের দাম কম থাকলেও এখন বাজারে পেঁয়াজের মূল্য অনেক বেশী। আর সে কারণে চাষীরা ব্যাপক ভাবে পেঁয়াজের আবাদ শুরু হয়েছে। আমরা আসা করছি পেঁয়াজের বাম্পার ফল হবে। পেঁয়াজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে চাষীদের সব ধরনের সহযোগিতা করে থাকি। এছাড়াও চাষীদের ৪%হার সুদে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
নতুন পেঁয়াজ উঠার সময় বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি না করার দাবী জানিয়েছেন ফরিদপুর অঞ্চলের কৃষকেরা। বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি না করলে ফরিদপুর অঞ্চলের চাষীরা অনেক লাভবান হবেন বলে মনে করছেন তারা।