পেটে সন্তান রেখে সেলাই: চিকিৎসককে ফের হাজিরের নির্দেশ
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
যমজ সন্তানের একটিকে পেটে রেখে অস্ত্রোপচার শেষ করার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন কুমিল্লার সিভিল সার্জন মজিবুর রহমান। তবে লাইফ হসপিটাল অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক শেখ হোসনে আরা বেগমকে ১৬ নভেম্বর আবারও হাজির হতে বলেছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও এ কে এম জহিরুল হকের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন। সকালে আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে নিঃশর্ত ক্ষমা চান কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মজিবুর রহমান, লাইফ হসপিটাল অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক শেখ হোসনে আরা বেগম। শুনানি শেষে ক্ষমা প্রার্থনার আবেদনের ভিত্তিতে সিভিল সার্জনকে অব্যাহতি দেন আদালত। তবে অন্য দুজনকে ১৬ নভেম্বর আবার হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে এই ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ওই দিন দাখিলের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন আমলে নিয়ে গত ২৯ অক্টোবর চিকিৎসক শেখ হোসনে আরা বেগমসহ তিনজনকে তলব করেন হাইকোর্ট। গতকাল মঙ্গলবার তাঁদের আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, কুমিল্লার হোমনা উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের আউয়াল হোসেনের স্ত্রী খাদিজা আক্তারকে (২২) গত ১৮ সেপ্টেম্বর দাউদকান্দির গৌরীপুর লাইফ হসপিটাল অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অস্ত্রোপচার করা হয়। সেখানে খাদিজার পেটে একটি সন্তান রেখেই অস্ত্রোপচার শেষ করার অভিযোগ ওঠে ডা. শেখ হোসনে আরার বিরুদ্ধে। গত ২৬ অক্টোবর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগে অস্ত্রোপচার করে খাদিজা বেগমের পেট থেকে ওই শিশুটিকে অপসারণ করা হয়। আলট্রাসনোগ্রাফিতে যমজ সন্তানের কথা উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুরের ‘লাইফ হসপিটাল’-এর চিকিৎসক হোসনে আরা বেগম গত ১৮ সেপ্টেম্বর অস্ত্রোপচারের সময় একটি সন্তান গর্ভে রেখেই সেলাই করে দেন। অন্য সন্তানকে টিউমার বলে জানিয়েছিলেন ওই চিকিৎসক। এতে গর্ভেই মারা যায় অনাগত সন্তান। তবে অস্ত্রোপচারে বের করা কন্যাসন্তান আদিবা ইসলামের বয়স এখন এক মাস। সে সুস্থ আছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গৌরীপুরের ‘লাইফ হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি’র কোনো সরকারি অনুমোদন ছিল না। এক বছর ধরে অনুমোদন ছাড়াই এটি চালানো হচ্ছিল। কয়েকজন চিকিৎসক ওই হাসপাতালে খ-কালীন কর্মী হিসেবে কাজ করতেন।