সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির জনসভা পিছিয়ে ১১ নভেম্বর
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগামীকাল বুধবার (৮ নভেম্বর) জনসভা হচ্ছে না। এটি হবে ১১ নভেম্বর শনিবার। রাজধানীতে কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) সম্মেলন চলার কারণে এটি পেছানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ১১ নভেম্বর যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির উদ্যোগে জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল সোমবার বিএনপির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী-নেতারা সরকারি গাড়িতে চড়ে শরীরে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়ানোর কারণে ক্ষুব্ধ জনগণের মনের অবস্থা বুঝতে অক্ষম। জনগণের ঢল যেকোনো মুহূর্তে জনধিকৃত সরকারের মসনদকে উল্টে দিতে পারে সেটি অনুধাবন করতে ব্যর্থ মন্ত্রীরা। কারণ ক্ষমতার ঝাড়বাতির আলোয় মন্ত্রীদের চোখ এখন ঝাপসা হয়ে গেছে। ঠান্ডা ঘরে পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে বসে থেকে বয়ে যাওয়া গণবিক্ষোভের জোরালো বাতাস গায়ে না লাগাই স্বাভাবিক। বাংলাদেশ এখন অগ্নিগর্ভ। আইনশৃঙ্খলার নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি, বিদ্যুৎ, খাবার পানি, গ্যাসের তীব্র সংকট, শিল্পোৎপাদনের বিপর্যয়, মূল্যস্ফীতির দৈনন্দিন চাপ, শ্বাসরুদ্ধকর যানজট, সর্বস্তরে চাঁদাবাজি, জবরদখল, গুম ও খুনের ভয়, রক্তপাত, জোর করে মানুষের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের দাপট, বেঘোরে জীবনহানির এক মহাদুর্যোগ চলছে দেশে। এই মহাদুর্যোগ বিরাজমান বলেই যেকোনো মুহূর্তে গণ-অভ্যুত্থান অবশ্যম্ভাবী। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচি না থাকলেও বিএনপির সাম্প্রতিক বিভিন্ন কর্মসূচিতে মানুষের ঢল দেখে ভীত হয়ে আবার দেশব্যাপী গণগ্রেফতার শুরু করেছে ভোটারবিহীন সরকার। প্রতিদিন কোনো না কোনো জেলার কিংবা উপজেলায় মামলা ছাড়াই নেতাকর্মীদের আটক করে পরে মিথ্যা মামলা দায়ের করে কারাগারে পাঠানোর হিড়িক চলছে। সত্যিকারার্থে বর্তমান সরকারের দুঃশাসনে অতিষ্ঠ জনগণ। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, আতাউর রহমান ঢালী, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফু, সহ-দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেন প্রমুখ।