বাস্তবায়ন নয়, বিএনপির প্রস্তাব নির্বাচনী রোড ‘ব্লক’ করার জন্য: ইনু
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে বিএনপির দেওয়া প্রস্তাবে নির্বাচনী রোডম্যাপ বাস্তবায়নের কিছু খুঁজে পাননি তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
তিনি বলেছেন, বিএনপির ২০ দফা প্রস্তাব নির্বাচনী রোডম্যাপ বাস্তবায়নের জন্য নয়, রোড ব্লক করার জন্য। তাদের বেশিরভাগ প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার বহির্ভূত এবং আরপিও পরিপন্থি। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী বিএনপির কয়েকটি প্রস্তাব ‘অযৌক্তিক ও অস্বাভাবিক’ বলেও মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির ১৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গত রোববার নির্বাচন কমিশনের সংলাপে ২০ দফা সুপারিশে মোট ৬৬টি প্রস্তাব তুলে ধরে। তফসিল ঘোষণার আগে সংসদ ভেঙে দিয়ে একটি ‘সহায়ক সরকার’ এর অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠান, ২০০৮ সালের আগের আসন সীমানায় ভোট, সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে ভোটের মাঠে মোতায়েন এবং ইভিএম ব্যবহার না করার কথা বলা হয়েছে সেখানে।
বিএনপির প্রস্তাবের সমালোচনা করে জাসদ সভাপতি ইনু বলেন, বিএনপি নির্বাচন কমিশনকে যেসব প্রস্তাব দিয়েছে, তাতে নির্বাচনের ছয় মাস আগ থেকে সারা দেশের কাজকর্ম, লেখাপড়া বন্ধ করে দিতে হবে, ভাবটা এমন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছে ইসি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপিকে এই সংলাপে পেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদাও ‘অত্যন্ত খুশি’। দলটি এবার নির্বাচনে অংশ নেবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করছেন। আর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সংলাপ থেকে ‘অর্থপূর্ণ কোনো ফল না এলেও’ একে আশার যাত্রা হিসেবে দেখছেন। অন্যদিকে তথ্যমন্ত্রী ইনু বলছেন, ইসিতে ২০ দফা প্রস্তাবের মাধ্যমে বিএনপি নির্বাচনী রোডম্যাপ বাস্তবায়নের আলোচনা ‘ধামাচাপা’ দিয়েছে। তারা বিভ্রান্তির জাল তৈরির চেষ্টা করেছে, আগামি নির্বাচন বানচাল করাই তাদের লক্ষ্য।
নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দিতে বিএনপির তোলা প্রস্তাবকে ‘চূড়ান্তভাবে চক্রান্তমূলক’ প্রস্তাব হিসেবে বর্ণনা করেন জাসদ সভাপতি ইনু। এটা সশস্ত্র বাহিনীকে বিতর্কিত করার প্রস্তাব। সশস্ত্র বাহিনীর যে কাজ, সেই কাজের বাইরে তাকে ন্যস্ত করার সুগভীর চক্রান্ত ছাড়া কিছু নয়। জাসদ সভাপতি ইনু বলেন, বিএনপি নির্বাচনের লক্ষ্যে স্থির নয়, তারা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে। এজন্য তারা নির্বাচনকালীন সরকার, নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে কথা বলে নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টা ঝুলিয়ে রাখতে চাইছে। এজন্য বিভিন্ন সময়ে তারা কথা পাল্টায়। এখনও সেই অবস্থায় তারা আছে। নির্বাচনকালীন সরকারের সময় কেন সংসদ ভেঙে দেওয়া হবে না– সেই ব্যাখ্যা দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধ ঘোষণার এখতিয়ার কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নেই, তখন সংসদকে ডাকতে হয়। আর ভোটের সময় সংসদ বহাল থাকলেও এর কোনো কাজ নেই, ভূমিকা নেই।