বৈঠকে ট্রাম্প উপস্থিত ব্যক্তিদের উদ্দেশ্য করে বলেন, “এই ঘরে এখন যারা আছেন তাদের মতো কেউ সারা বিশ্বে নেই। আমরা যা করতে পারি তা হচ্ছে এই যাত্রায় সহায়তা করা, আমরা আপনাদের সঙ্গে থাকব।” “আপনারা আমার লোকদের ডাকবেন, আমাকে ডাকবেন। এখানে কোনো পার্থক্য নেই। আমাদের এখানে আনুষ্ঠানিক কোনো চেইন অফ কমান্ড নেই।”ট্রাম্পের টেবিলের একপাশে বসেছিলেন ফেইসবুকের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা শেরিল স্যান্ডবার্গ ও ভাইস-প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত মাইক পেন্স, আরেক পাশে ছিলেন বিনিয়োগকারী পিটার থিল আর অ্যাপল প্রধান টিম কুক। ট্রাম্পের তিন সন্তানও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।এই বৈঠকে সবচেয়ে বেশি আলোচনা করা হয় কর্মসংস্থান, অভিবাসী আর চীন বিষয়ে, সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে জানিয়েছে সিএনএন। সেই সঙ্গে কারিগরী শিক্ষা, অবকাঠামোগত প্রকল্প, বৈদিশিক সম্পদ ফেরত নিয়েও আলোচনা করা হয়।প্রতি প্রান্তিকেই এমন একটি বৈঠক করতেও সম্মত হয়েছেন অংশগ্রহণকারীরা।
“দলটি যুক্তরাষ্ট্রের কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও উদ্ভাবন সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছে”, এক বিবৃতিতে বলেন সিসকো মুখপাত্র অ্যান্ড্রে ডাফি। বক্স-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী অ্যারন লিভি নির্বাচনী প্রচারণার সময় একজন ঘোষিত হিলারি সমর্থক ছিলেন। তিনি বলেন, “এখন আমরা প্রচারণা চক্র থেকে বের হয়ে এসেছি, আমাদের এখন গঠনমূলক রূপে আগানো উচিৎ। এটি পরবর্তী প্রশাসন।” বৈঠকের দৃষ্টিগোচর করার মতো একটি বিষয় ছিল টুইটারের অনুপস্থিতি। কেন টুইটার আসেনি তা নিয়ে বিভিন্ন ব্যাখ্যা শোনা গেলেও এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অন্যদিকে, টেসলা প্রধান ইলন মাস্ক আর উবার প্রধান ট্রাভিস কালানিক-কে ব্যবসায়িক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাম্প।