রাকিব হোসেন,ভোলা প্রতিনিধিঃ
যার সপ্ন জনমানুষের কল্যাণ কাজ করা। আর বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সপ্নের বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে জননেত্রী শেখ-হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে তার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষে দৌলতখানঁ-বোরহানউদ্দিন মানুষের সেবায় নিজের মেধা সততা ও নিষ্ঠা দিয়ে রাত-দিন নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আমাদের ভোলার অহংকার দৌলতখাঁন-বোরহানউদ্দিনের সূর্য সন্তান ভোলা-২ আসন এর সাংসদ আলহাজ্ব আলী আজম মুকুল। তার শ্রম মেধা ও দায়িত্বশীলতায় ২০০১ সালের সন্ত্রাসের জনপথে আজ শান্তীর নীড়ে রুপান্তর হয়েছে। তার নির্বাচনীয় এলাকার প্রতিটি মসজিদ, মন্দির, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারী ভাবে আর্থিক অনুদান দেওয়ার পাশা পাশি নিজের ব্যাক্তিগত তহবিল থেকেও বিভিন্ন সামাজিক কাজে আর্থিক সাহায্য করে থাকেন। দৌলতখানঁ উপজেলার সৈয়দ পুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের দিন মজুর বাচ্চু ও নার্গিস বেগমের ১১ বছরের দ্বিতীয় ছেলে জিহাদ জন্মের ১ বছর পর থেকে ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যায়। ছেলের অন্ধ হয়ে যাওয়াকে কোন ভাবেই মেনে নিতে পারেননি বাবা বাচ্চু। নিজের ভিটা মাটি বিক্রি করে নানা জায়গায় চিকিৎসা করানোর পরও ছেলের চোখের আলো ফিরিয়ে আনতে পারেননি। তার পরেও হাল ছাড়তে নারাজ বাবা। এবার স্থানীয় এমপি আলী আজম মুকুলের কাছে ছেলের চোখের দৃষ্ঠি ফেরাতে দ্বারস্থ হন এবং ছেলেকে নিয়ে তাদের সকল অসহায়ত্বের কথা খুলে বলেন। আলী আজম মুকুল দিনমজুর বাচ্চুর সপ্ন পূরন করতে জিহাদের চোখের আলো ফিরাতে চিকিৎসার সকল দায়ীত্ব নেন এবং তার নিজ খরচে চলতি বছরের ২৫ ফেব্রয়ারী জিহাদকে ঢাকা ইসলামিয় চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি করে তার একটি চোখ প্রতিস্থাপন করেন। বর্তমানে জিহাদ তার নিজ চোখে পৃথিবীর আলো দেখতে সক্ষম হয়েছেন। একই ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ডের বাঘা বাড়ীর লোকমান হোসেনের স্ত্রী রিটু বেগম ও তার ছেলে ফয়েজ মেয়ে আনরা সহ এই পরিবারের তিন জনই অন্ধ থাকায় এমপি নিজের খরচে তাদের প্রত্যকের চোখে ল্যান্স প্রতিস্থাপন করিয়ে দেন। দৌলতখানঁ পৌরসভা ৬নং ওয়ার্ডের মন্জুর আলমের বাবা দুলাল মিয়ার হার্ট স্ট্রেক হলে তার চিকিৎসার জন্য এমপির ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে নগদ দুই লক্ষ টাকা দেন। ভবানীপুর ইউনিয়নের আঃ গনি ফরাজিকে চিকিৎসার জন্য দেড় লক্ষ টাকা দেন এমপি আলি আজম মুকুল। মানুষের কল্যাণে কাজ করার এরকম হাজারে উদাহরন রয়েছে তার। সারা বাংলাদেশে সরকারী চাকরী মানেই ঘুষ বানিজ্য কিন্তু দৌলতখাঁন-বোরহানউদ্দিনে এমপি আলী আজম মুকুল হুশিঁয়ার করেছেন, যদি কোন কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে ঘুষ বানিজ্যর সাথে জড়িত থাকার প্রমান মিলে তাহলে তাকে এখান থেকে চাকরি ছেড়ে যেতে হবে। তাই প্রতিটি নিয়েগে মেধার মূল্যায়ন করে বিনাঘুষে চাকরি প্রদানে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। নদী ভাঙ্গার হাত থেকে ভোলা-২ আসনকে রক্ষা করতে প্রায় ৫ শত কেটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে। অসংখ্য নতুন বিদ্যালয় ভবন করে দিয়েছেন তিনি। নদী ভাঙ্গন কবলীত এলাকায় রাস্তা ঘাট সংস্কার করছেন প্রতিনিয়ত। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে অসামান্য ভুমিকা রেখে যাচ্ছেন এই তরুণ সাংসদ। তারুন্যদীপ্ত পরিছন্ন রাজনীতিবীদ, দূর্সময়ের আওয়ামীলীগের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর- ৯০ দশকের ছাত্রলীগের রাজপথের সাহসী কান্ডারী , জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থাবাজন মেধাবী রাজনীতিবিদ , সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তিনি । তাই এখানের তৃনমূল জনগনের শত ভাগ বিশ্বাস ও আস্থা আগামী দিনেও আলী আজম মুকুলই হবেন দৌলতখাঁন-বোরহানউদ্দিনের মানুষের অভিবাবক । আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন তিনি । দলমত নির্বিশেষে সকল গনমানুষের মনে ঠাই করে নিয়েছেন ইতিমধ্যে। তাই এলাকাবাসী আশা করেন আগামী সংসদ নির্বাচনে ভোলা-২ অসনকে আধুনীক ও উন্নত করতে তার বিকল্প নেই। সাংসদ আলহাজ্ব আলী অজম মুকুল বলেন, ব্যবসা ও প্রতিশ্রুতির রাজনীতি নয়, আমি বিবেকের কাছে দায়বদ্ধতা থেকে মানুষের জন্য কাজ করি। যারা স্বাধীনতার পর থেকে শুধু রাজনীতির সার্থে বলি হয়েছেন ধোকা খেয়েছেন তাদের অপুরনীয় সপ্নকে বাস্তবে রুপ দিতে আমি বদ্ধ পরিকর এবং আগামী দিনেও জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখবো ইনশাআল্লাহ্।