রাজিব আহসান জাকারিয়া, খাগড়াছড়ি থেকে
গত চারদলীয় জোট সরকারের আমলের দোর্দণ্ড প্রতাপশালী খাগড়াছড়ির সাংসদ ওয়াদুদ ভূঁইয়া জেলার রাজনীতিতে কৌশলে তৃনমূল নেতৃবৃন্দকে সক্রিয় করে তুলছেন। আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তাঁর এই তৎপরতা বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন।
জানা যায়, ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার দুই বছর পর ওয়াদুদ ভূঁইয়ার নেতৃত্বাধীন জেলা কমিটি কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদন পায়। এর পরপরই তিনি তাঁর সমর্থকদের মাঠে নামিয়ে দেন। জেলা বিএনপির নিজস্ব কোনো কর্মসূচি না থাকলেও কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালনের সময় চোখে পড়ে তাঁর কর্মী-সমর্থকদের তৎপরতা।
দেশব্যাপী বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির কর্মী-সমর্থকেরা ওয়াদুদ ভূঁইয়ার ছবি নিয়ে মাঠে নামেন। এর আগে বিভিন্ন কর্মসূচিতে থাকত বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি। সম্প্রতি ওয়াদুদ ভূঁইয়ার ছবি-সংবলিত একাধিক রকমের পোস্টার সারা জেলায় ব্যাপকভাবে লাগানো হয়েছে। এসব পোস্টারে ওয়াদুদ ভূঁইয়াকে ‘পাহাড়ের অবিসংবাদিত নেতা’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, ‘এসব কর্মকাণ্ড নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে নয়, খাগড়াছড়ির বিএনপিতে ওয়াদুদ ভূঁইয়ার অবদান অতুলনীয় বলেই কর্মী-সমর্থকেরা তাঁর ছবি বহন করছেন। ‘ওয়াদুদ ভূঁইয়া খাগড়াছড়িতে অবস্থান করে রাজনীতি করতে চান। কিন্তু তাঁর জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে স্বার্থান্বেষী মহল হামলা চালাতে পারে-এই আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও খাগড়াছড়িতে তৃনমূল বি.এন.পি কে সক্রিয় রাখতে কাজ করে যাচ্ছেন।
আমাদের প্রতিনিধির সাথে একান্ত আলাপে তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হলে আমাদের জনগনকে এগিয়ে আসতে হবে। পুলিশি বাধার সামনে ও আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। কখনওবা আমরা সেই বাধা অতিক্রম করি,তবে আমাদের টার্গেট কৌশলে সভা-সমাবেশ বাস্তবায়ন করা। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জনগনের অধিকার আদায়ে আমরা কাজ করে যাব। তার জন্যে সর্বস্তরের জনগনের ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করতে হবে।