প্রাইভেট ডিটেকটিভ ডেস্কঃ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেছেন, জামিনে মুক্ত হওয়ার পর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা জেলে যাওয়ার আগে যা ছিল তার চেয়ে দ্বিগুণ হবে। তিনি এ–ও বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে।
গত ২ ফ্রেরুয়ারী ২০১৮ইং তারিখ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মওদুদ আহমদ এ কথা বলেন। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এনপিপি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, এ সরকার তো শেষ সরকার না, তাদের একদিন বিদায় নিতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এই সরকারের আমলে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি, শেয়ারবাজার লুট, হল–মার্ক কেলেঙ্কারি ডেসটিনিসহ সংবাদপত্রে যেসব দুর্নীতির খবর বের হয়েছে এবং যত দুর্নীতি হয়েছে, তার ওপর একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে। সেই শ্বেতপত্রে এই সরকারের আমলে কোন মন্ত্রী, কোন সাংসদ জড়িত তা বলা হবে। মদদপুষ্ট ব্যবসায়ীসহ কেন্দ্র থেকে জেলা–উপজেলা পর্যায়ের নেতা–কর্মীদের হিসাব নেওয়া হবে। সেদিন অবশ্যই তাদের বিচার হবে।
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, বর্তমান সরকার সব খাত থেকে দুর্নীতি করছে এবং এটি মহামারি পর্যায়ে চলে গেছে। বিশ্বব্যাংক যখন ঋণ দেয়, তখন তারা প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় তা নিয়মিত মনিটরিং করে। বর্তমান সরকার জনগণের টাকায় বড় বড় প্রকল্প করছে। কিন্তু সেখানে কোনো জবাবদিহি নেই, কোনো রকমের কোনো মনিটরিং নেই। কারণ, মনিটরিং না থাকলে যত বড় বড় প্রকল্প, তত বেশি দুর্নীতি।
খালেদা জিয়ার কারাবাস প্রসঙ্গে বিএনপি শীর্ষ এই নেতা বলেন, কোনো সাক্ষ্য–প্রমাণ ছাড়া শুধু রাজনৈতিক কারণে খালেদা জিয়াকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। দুনীতির জন্য তাঁকে শাস্তি দেওয়া হয়নি। পাঁচ বছর সাজা হলে এমনিতেই স্বাভাবিকভাবে জামিন হয়ে যায়, সুপ্রিম কোর্টের এমন অনেক সিদ্ধান্ত আছে। যত কৌশল, যত ষড়যন্ত্রই করেন না কেন, খালেদা জিয়া জামিনে মুক্ত হয়ে ফিরে আসবেন। যেদিন মুক্ত হয়ে ফিরবেন, সেদিন খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা জেলে যাওয়ার আগে যা ছিল তার চেয়ে দ্বিগুণ হবে।
নির্বাচন কমিশনের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, নির্বাচন কমিশনকে বিএনপি একটি চিঠি দিয়েছিল। নির্বাচন কমিশন বলেছে তফসিল ঘোষণার পর থেকে কর্তৃত্ব গ্রহণ করবে। তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণা করা হয় নির্বাচনের দিনের ৪২ থেকে ৪৫ দিন আগে। ওই দেড় মাসে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে কি প্রশাসন ঢেলে সাজানো সম্ভব? এ বক্তব্যের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে তারা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে অক্ষম।
এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ, ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া প্রমুখ।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/৩মার্চ২০১৮/ইকবাল