নিজস্ব প্রতিবেদক,
কক্সবাজারের উখিয়ার কোর্টবাজার মসজিদ রোডস্থ কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। মসজিদ কমিটি, বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি ছাড়াও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কোন কর্তাব্যক্তির সড়ানোর নেই কোনো উদ্যোগ। যার ফলে মুসল্লীসহ স্হানীয়রা চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, কোর্টবাজার কেন্দ্রীয় মসজিদের মিম্বর ঘেষে আবর্জনা, মুরগীর নাড়িভুড়ি সহ বিভিন্ন পঁচাগলা কাঁচামাল ফেলে নষ্ট করা হচ্ছে পরিবেশ। ফলে সৃষ্ট হওয়া দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে পথচারী সাধারণ মানুষ, মুসল্লীসহ আশপাশের ব্যবসায়ীরা। এসব বর্জ্যের কারণে পথচারী ও মসজিদে আগত মুসল্লিসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয় বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ী সমিতির নেতা জামাল উদ্দিন জানান,
কোর্টবাজার স্টেশনের দক্ষিণ পাশে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের সেঞ্চুরি ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ফের ফেলা হচ্ছে বর্জ্য-আবর্জনা। এসব ময়লার বিশ্রী দুর্গন্ধে আশপাশের এলাকা, পথচারী, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
কোর্টবাজার মসজিদ রোডের হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, কোর্টবাজার কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনের ময়লার স্তুপটি অপসারণ করতে আমরা ব্যাবসায়ীদের সাথে কথা বলেছিলাম। উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে এই ময়লার ভাগাড়টি অন্যত্র সরিয়ে নিলে মুসল্লীরা ও আশপাশের ব্যবসায়ীরা স্বস্তিতে হাঁটাচলা ও ব্যবসা করতে পারবে।
মসজিদ রোডের অপর ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, মসজিদের সামনে বিশাল ময়লার স্তুপটি অনেক মাস ধরে দেখতেছি। প্রতিনিয়ত ময়লার স্তুপ থেকে দুর্গন্ধ আসে, যার কারণে আমাদের দোকানে কাস্টমারও কম আসে। এছাড়া দোকানে বসে থাকাও কষ্টসাধ্য বলে জানান তিনি।
বর্জ্য অব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্হানীয় সংবাদকর্মী জসিম আজাদ বলেন, কোর্টবাজার থেকে সরকার প্রতিবছর প্রায় কোটি টাকা রাজস্ব পায়। এই বিশাল বাজারটি দেখভাল করার দায়িত্বে থাকা বাজার ইজারাদার, বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি বাজারের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কোনো কার্যক্রম নেন না। যার ফলে সাধারণ ব্যবসায়ীরা উপায় না পেয়ে রাস্তার পাশেই ময়লার ভাগাড় সৃষ্টি করেছে। এতে পথচারী, মুসল্লীসহ সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাচ্ছে।
এব্যাপারে কোর্টবাজারের ইজারাদার মকবুল হোসাইন মিথুনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
উখিয়া উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে সাময়িক সাপোর্ট কোর্টবাজার দেয়া হচ্ছে। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট এনজিও ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা বলে ময়লার স্তুপটি অপসারণ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।