December 22, 2024, 9:18 am

সংবাদ শিরোনাম
পুলিশ ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়, পুলিশ ও জনগণ একে অন্যের পরিপূরক-রেজাউল করিম মল্লিক দলের পরিবর্তন হয়েছে চরিত্রের পরিবর্তন হয়নি শায়খে চরমোনাই মুফতি ফয়জুল করীম আপনারা শান্তিতে থাকুন আমরা চাই,আমাদেরকেও আপনারা শান্তিতে থাকতে দিন- ডা. শফিকুর রহমান যশোরে গাছের সাথে বাসের ধাক্কায় নিহত ১ পার্বতীপুরে ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা ২০২৪ অনুষ্ঠিত বাংলাভিশন ডিজিটালের নির্বাহী সম্পাদকের বিরুদ্ধে নাবিলের অপপ্রচারের প্রতিবাদ হিলিতে বিজিবি দিবসে বিএসএফকে মিষ্টি উপহার বিজিবির কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে আওয়ামী লীগের নেতা গ্রেপ্তার পটুয়াখালীতে বাড়ির সীমানা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত-৬ গভীর রাতে আশ্রায়ন প্রকল্পের শীতার্তদের পাশে হাকিমপুরের ইউএনও অমিত রায়

আদালতের নির্দেশনা মানছেন না জেলা প্রশাসক

ডিটেকটিভ নিউজ ডেক্স:

স্থায়ী স্থাপনা উচ্ছেদ না করে হকারদের হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে।

বেদখল হয়ে যাচ্ছে ১২০ কিলোমিটার ইসিএ ভুক্ত সৈকত এলাকা। আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক হকার ও বাসিন্দাদের পুনর্বাসন করার দাবি সচেতন মহলের। মাঝে মাঝেই লোক দেখানো উচ্ছেদ অভিযানের নামে হয়রানি করার অভিযোগ স্থানীয়দের। শুধুমাত্র মারমেইডের অবৈধ দখলে প্রায় ৩৫ একর সরকারি ইসিএ এলাকা। স্বৈরাচারী সরকারের আমলে করা বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি এখনোও অপরিবর্তিত।

বার বার আদালতের রায় উপেক্ষিত হচ্ছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কাছে। আর এতে করে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকার ১২০ কিলোমিটার ইসিএ এলাকার মহা মূল্যবান সম্পত্তি এককের পর এক ভূমি দস্যুদের থাবায় দখল হয়ে যাচ্ছে।

উচ্ছেদের নামে হকার ও অস্থায়ী বাসিন্দাদের অযথা হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে।

পরিবেশের জন্য সংকটাপন্ন এলাকা রক্ষার কঠোর ভাবে নির্দেশনা থাকার পরেও জেলা প্রশাসনের পর্তক্ষ পরক্ষ মদদে ও রাজনৈতিক চাটুকারিতায় বছরের পর বছর ধরে দখল করতে করতে সাগরের পানির পর্যন্ত চলে গেছে। যেন পরিবেশ রক্ষা করার জন্য কারো কোন মাথা ব্যাথা নাই।

এনিয়ে বেশ কয়েকবার রীট আবেদন ও রায়ের পরেও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আর ক্ষমতার জোরে ১২০ কিলোমিটার সৈকত এলাকা প্রায় গিলেই ফেলেছে ভূমি দস্যুরা। আর হাইকোর্টের রায়কে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখাচ্ছে প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তারা। অন্য দিকে আওয়ামী সরকারের আমলে তৈরী হওয়া বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি এতো কিছু করেও সরকার পতনের পরেও দিব্যি বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগায়।

উল্লেখ যে, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাককে পরিবেশগত সংবেদনশীল এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে ১৯৯৯ সালের ১৯ এপ্রিলে এই সংক্রান্ত একটি গেজেটও প্রকাশ করে সরকার। সেই নির্দেশনা মোতাবেক ১২০ কিলোমিটার সৈকত এবং সৈকত ঘেঁষা গ্যাস সমৃদ্ধ ৩০০ মিটারের মধ্যে যেকোনো স্থাপনা নির্মান বা উন্নয়ন নিষিদ্ধ এবং ৫০০ মিটার সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করা হয়। যদিও ২০১৮ সালে তৎকালীন সরকার পরিবর্তনের পর কলাতলীর বিশাল খাস জমিকে প্লট করে ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে লীজ দেয় ততকালীন সরকার। এর পরে চুক্তি মতে কাজ শেষ করতে না পারায় ৫৯টি প্লট বাতিল করে আপিল বিভাগ চুড়ান্ত ভাবে মামলা নিস্পত্তি করে।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর