December 22, 2024, 9:05 am

সংবাদ শিরোনাম
পুলিশ ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়, পুলিশ ও জনগণ একে অন্যের পরিপূরক-রেজাউল করিম মল্লিক দলের পরিবর্তন হয়েছে চরিত্রের পরিবর্তন হয়নি শায়খে চরমোনাই মুফতি ফয়জুল করীম আপনারা শান্তিতে থাকুন আমরা চাই,আমাদেরকেও আপনারা শান্তিতে থাকতে দিন- ডা. শফিকুর রহমান যশোরে গাছের সাথে বাসের ধাক্কায় নিহত ১ পার্বতীপুরে ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা ২০২৪ অনুষ্ঠিত বাংলাভিশন ডিজিটালের নির্বাহী সম্পাদকের বিরুদ্ধে নাবিলের অপপ্রচারের প্রতিবাদ হিলিতে বিজিবি দিবসে বিএসএফকে মিষ্টি উপহার বিজিবির কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে আওয়ামী লীগের নেতা গ্রেপ্তার পটুয়াখালীতে বাড়ির সীমানা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত-৬ গভীর রাতে আশ্রায়ন প্রকল্পের শীতার্তদের পাশে হাকিমপুরের ইউএনও অমিত রায়

উখিয়ার ইনানী জেটি দ্রুত অপসারণে মাঠে নামার ঘোষণা ৭ পরিবেশবাদী সংগঠন

দীপন বিশ্বাস:নিজস্ব প্রতিবেদক,কক্সবাজার:

ইসিএ আইন লঙ্ঘন ও সৈকত দ্বিখন্ডিত করে নির্মাণ করা হয়েছে উখিয়ার ইনানী জেটি। এ জেটির কারণে সাগরের পানির প্রবাহ বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে।

তাই অখন্ড সৈকত রক্ষার জন্য আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এ জেটি অপসারণ করতে হবে, অন্যথায় বৃহত্তর কর্মসূচী বাস্তবায়নে সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে মাঠে নামার ঘোষণা ৭ পরিবেশবাদী সংগঠনের।

নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আদালতের আদেশ ও আইনি বিধান লঙ্ঘন করে ২০২০ সালে সমুদ্রসৈকত দ্বিখন্ডিত করে উখিয়ার ইনানী সৈকতে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় এই জেটি নির্মাণ করা হয়। জেটি নির্মাণ করতে গিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদনও নেওয়া হয়নি। অস্থায়ীভাবে নির্মিত জেটিটি অপসারণের কথা থাকলেও তা আর অপসারণ করা হয়নি।

বক্তারা বলেন, কক্সবাজার সৈকতে উচ্চ আদালতে ইসিএ ঘোষিত এলাকায় কোন ধরণের স্থাপনা না করার আদেশ থাকা সত্বেও নৌবাহিনী ২০২০ সালে নৌ মহড়ার নামে সাগরের বুক চিরে একটি দীর্ঘ জেটি স্থাপন করেছিল। পরিবেশবাদী নেতাদের প্রতিবাদের মূখে তাদের সিদ্ধান্ত ছিল— নৌ—মহড়া শেষে ওই জেটি ভেঙ্গে ফেলা হবে।
তবে একজন জাহাজ ব্যবসায়ী তার ব্যবসার সুবিধার্থে কৌশলে জেটিটা ভাঙতে দেয়নি বলে এমন অভিযোগ পরিবেশ সংগঠনগুলোর।

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত পৃথিবীর দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন সমুদ্রসৈকত। এটি বাংলাদেশি প্রত্যেক মানুষের গর্বের ঐতিহ্য। অথচ প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এই সৈকতকে দ্বিখন্ডিত করে ২০২১ সালে উখিয়ার ইনানী সৈকতে অপরিকল্পিতভাবে একটি স্থায়ী জেটি নির্মাণ করা হয়। গত বছর থেকে এই জেটি ব্যবহার করে সেন্টমার্টিনে পর্যটক পারাপারের জন্য একজন প্রভাবশালী জাহাজ মালিককে সুযোগ দেওয়া হয়।

একই সাথে নেতৃবৃন্দ সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচলের জন্য দ্রæত পয়েন্ট নির্ধারণ করে সেন্টমার্টিনে পর্যটক যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টির জন্য অনুরোধ জানান।

যৌথ বিবৃতি দেওয়া ৭ সংগঠন হচ্ছে যথাক্রমে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), নদী পরিব্রাজক দল, কক্সিয়ান এক্সপ্রেস, ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি (ইয়েস), সেভ দ্যা এনভায়রনমেন্ট অব বাংলাদেশ (সেব), গ্রীণ ভয়েস কক্সবাজার।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর