নিজস্ব প্রতিবেদক:আওয়ামী লীগকে বিএনপি, যুবলীগকে যুবদল,ছাত্রলীগকে ছাত্রদল করতেই তারা চালিয়ে যাচ্ছে বাণিজ্য। ইতিমধ্যে সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন, মিছিলসহ শিবগঞ্জে ঘটেছে অনেক ঘটনা, তবুও এর শেষ কোথায়। হামলা, মামলার অন্তরালে চলছে ধরি মাছ না ছুই পানির ব্যবসা।
টিসিবি বন্ধ, ভোক্তাদের অধিকার হরণ এটা মানবাধিকার লংঘন। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একজন টিসিবি ডিলার জানান, আমি সকল টিসিবি ডিলারদের সঙ্গে কথা বলেছি সবাই বলেছে হয় টিসিবি দিতে দেওয়া হোক না হয় টিসিবি আমাদের কাছে থেকে নিয়ে নেওয়া হোক কারন ভোক্তাদের অধিকার টিসিবি পাওয়ার অধিকার এটা বন্ধ রাখা আইনত দন্ডিত হওয়ার অপরাধ।
অনেকটা বিএনপির দুঃসময়ে বিএনপিকে টিকানো নামে পকেট ভারি করতেই কিছু নেতা কর্মীকে কৌশলে ব্যবহার করা হয়েছে এখন তাদের বানানো হচ্ছে আওয়ামী দোসর। বিএনপি অসময়ের সৃষ্টি বহু নেতা কর্মী যার সৃষ্টি মূলে নথি হয়ে কাজ করেছে বিএনপির কিছু লোভি নেতারা। শিবগঞ্জ বাসীর প্রাণের রাজনীতিকে একটি মহল ধংসের দিকে নিতে নিজের লোভ কে কাজে লাগাতে দ্বিধা করছে না।সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর প্রেক্ষিতে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বিউটি বেগম বলেন, আমি বিউটি বেগম শিবগঞ্জ উপজেলার দুইবারের নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছিলাম। সাবেক সভানেত্রী শিবগঞ্জ উপজেলা জাতীয়তাবাদী মহিলা দল এবং সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, বগুড়া জেলা জাতীয়তাবাদী মহিলা দল, সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, জেলা বিএনপি, বগুড়া।
২০১৮ সালে আমি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করি। কারণ সেই নির্বাচনে মীর শাহে আলম আমাকে বলেছিলেন, আমি ও মতিন ভাই দাড়াবো না,বিএনপিকে কৌশলে টিকাতে হবে এজন্য এবার আপনার একটা সুযোগ আছে। আমরা সহযোগীতা করবো নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দাড়ান।তিনি আরও বলেন, মীর শাহে আলম বরাবরই অর্থলোভী। সে আমাকে ভোটে দাড়িয়ে দিয়ে আমার প্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তাকে আমাকে ঘরে তুলে রাখার জন্য অঙ্গীকার করে। তার কথামত আমার নতুন গাড়ী ভেঙ্গে দেয় যেন আমি ভয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াই। নির্বাচনের পরে আমাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। শুধু আমি নই বিএনপির অনেক নেতাই নির্বাচন করে তারাও বহিস্কার হয়।
কিছুদিন পর অবশ্য সকলের বহিস্কার আদেশ প্রতাহার করা হলেও দুর্ভাগ্য ক্রমে আমার চিঠি শিবগঞ্জের বিএনপি নেতা মীর শাহে আলম হাতে নিয়ে গোপন করেন বহিস্কার প্রত্যাহার এর চিঠি না পেয়ে আমি আমার জেলা নেত্রী লাভলী আপাকে (তিনি এখন মৃত) নিয়ে কয়েক বার মহাসচিব ও যুগ্ম মহাসচিবের কাছে গিয়েছি। এমনকি জেলার সকল মিছিল মিটিং কার্যক্রম পালন করেছি যার প্রমানের ছবি দেখাতে পারবো। জেলার সভাপতি সিরাজ এমপির কাছে বহু ধর্না দিয়েছি, এমন কোন সিনিয়র নেতা নেই যে আমি তার কাছে যাইনি। সবাই বলেছেন তোমার কার্যক্রমের কোন সমস্যা নয়, তুমি একজন পরিশ্রমি নেত্রী। কিন্তু আমাদের করার কিছু নেই। তোমার বিষয় মীর শাহে আলম হতে দিচ্ছেনা অনেক কষ্ট নিয়ে পাঁচ বছরেও যখন বহিস্কার প্রতাহার না হয় তখন নির্বাচনে সিন্ধান্ত গ্রহণ করি। আসলে প্রায় ৩০ বছর জনগনের সাথে রাজনৈতিক পরিচয়ে থেকেছি আজও আছি যে যেখানে ডেকেছে সেখানে ছুটে গিয়েছি, রাত ১২ টা ১ টার সময়ে আমার বিএনপি পরিবারের কাউকে পুলিশ ধরে আনলে কোন নেতা শিবগঞ্জ প্রোপারে না থাকায় (মীর শাহে আলম ঢাকার থাকে) গভীর রাতে নেত্রী হিসাবে থানায় ছুটে গিয়েছি । সম্ভব হলে ছাড়িয়ে নিয়েছি না হলে প্রয়োজনীয় জিনিষ কিনে দিয়ে বাসায় এসেছি আবার সকাল বেলা গিয়ে খোঁজ নিয়েছি, কোর্ট পর্যন্ত সাথে গিয়েছি। এভাবেই কাজ করেছি, নিজের সংসার রেখে দলের লোকের কাজের পিছনে ছুটেছি, পারলে নিজের টাকা খরচ করেছি কোন দিন কেউ বলতে পারবেনা এই বিউটি আপা এই কাজ করে পয়সা নিয়েছে।তিনি বলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে আমার ছেলে শাহ নেওয়াজ বিপুল এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হয়, এক পর্যায়ে মীর শাহ আলম বলে যে তুমি ঠিকমত কাজ করো তোমার মা নির্বাচনে অংশগ্রহন করবে এবং আমার দলের সকল নেতাকর্মীরা সহযোগীতা করবে। যার একটি অডিও রেকর্ড ফেইসবুকে ব্যাপকহারে ভাইরাল হয়েছিল। যেখানে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী ছিল শরীফুল ইসলাম জিন্নাহ এমপি এবং একজন আওয়ামী লীগের ড্যামি প্রার্থী ছিলেন আকরাম হোসেন। সেখানে
আমি বিউটি বেগম স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ৯০ সেন্টারে ফাস্ট হই। মাত্র ২০ সেন্টার গণনা স্থগিত করে ঘোষণা দেওয়া হল এমপি জিন্নাহ কে। আমি একটুও কষ্ট পাইনি কারন টিভিতে সব সময় প্রচার হত নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। জনগণ সরকারকে ঘৃনা করলো, আমাকে ভালবেসে এই দুঃসময়ে ৩৫ হাজার ভোট দিল। আমি কৃতজ্ঞ আমার শিবগঞ্জের জনগনের কাছে।২০২৪ সালের নির্বাচন যদি আমার দোষের হয় তবে বহিস্কার থাকা অবস্থায় স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দেওয়া পাঁচটি মামলা হল কেন আমার ও আমার ছেলের বিরুদ্ধে ?যা এখনও বিচারাধীন। আমি ও আমার ছেলে চার মাস জেল খাটলাম, সেই সব মামলায়, ভেবে ছিলাম আমার নেতা (তারেক রহমান) এবার হয়তো দলে নিবেন। জেল খাটার পরও যখন দলে নেননি তাহলে তার দলের নেতা মীর শাহ আলমের কথামত নির্বাচন করেছি এখানে আমার অপরাধ কি? বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে তারেক রহমানের নির্দেশে উদ্বুদ্ধ হয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যোগদান করি। যার প্রমাণ স্বরূপ ছবি ও ভিডিও আছে।৫ আগস্টের পর আমার নামে, আমার ছেলের নামে, আমার স্বামীর নামে, আমার ভাসুরের ছেলে দুই জনের ৮/১০ টি মামলা দিয়েছে এবং আমার ছোট ভাইকে ধরে নিয়ে চারটি অজ্ঞাত মামলা দিয়ে চালান করাইছে মীর শাহে আলম। ক্ষমতার গন্ধ পেয়ে যারা মানুষ নামের অমানুষ হয়ে উঠেছে তার হাতে আরো ক্ষমতা আসলে কি হবে আল্লাহ জানেন। জননেতা তারেক রহমানের ডাকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেও আজ আমাদের পরিবার ঘড় ছাড়া, শুধু আমরাই নই বিএনপির প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী ঘড় ছাড়া।
শিবগঞ্জের বিএনপি মানেই মীর শাহে আলমের অন্যায় মেনে নিতে হবে। উদাহরনস্বরুপ বিএনপি নির্বাচন করেনি কিন্তু মীর শাহে আলম ঘরে বসে থাকেনি। উনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান মানিকের দুইবার পৌর নির্বাচন করেছেন। এই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের পক্ষেও নির্বাচন করে দিলেন মীর শাহে আলম। ইতিমধ্যে তার ইশারাই আওয়ামী লীগকে পূর্ণবাসনে কাজ শুরু করেছে শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির নেতারা মোটা অংকের টাকা খেয়ে তারা চিহ্নিত যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমকে দেউলী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নির্বাচিত করে।
সেই সাথে তার নামে দুইটি মামলা থাকার পরেও র্যাব ১২ অফিস থেকে আটক হওয়ার পর এই যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম কে ছারিয়ে নিতে তৎপর হয়ে ওঠেন এবং ছাড়িয়ে নেন দেউলী ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক সবুজ ওয়াদুদ নামের দুইজন বিএনপি নেতা। জানাগেছে, শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মির শাহ আলমের খুব কাছের আত্মীয় এই বিএনপি নেতা ওয়াদুদ।
এরকমভাবে শিবগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে যতগুলো ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্যানেল চেয়ারম্যান আছে তাদের সবার কাছ থেকেই হয়েছে মোটা অংকের বিনিময়। তাদের প্রত্যেককে শিবগঞ্জে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন বিএনপির বর্তমান উপজেলা সভাপতি মীর শাহ আলম। লীগকে বিএনপি, যুবলীগকে যুবদল,ছাত্রলীগকে ছাত্রদল করতেই তারা চালিয়ে যাচ্ছে বাণিজ্য। ইতিমধ্যে সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন, মিছিলসহ শিবগঞ্জে ঘটেছে অনেক ঘটনা, তবুও এর শেষ কোথায়। হামলা, মামলার অন্তরালে চলছে ধরি মাছ না ছুই পানির ব্যবসা। টিসিবি বন্ধ, ভোক্তাদের অধিকার হরণ এটা মানবাধিকার লংঘন। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একজন টিসিবি ডিলার জানান, আমি সকল টিসিবি ডিলারদের সঙ্গে কথা বলেছি সবাই বলেছে হয় টিসিবি দিতে দেওয়া হোক না হয় টিসিবি আমাদের কাছে থেকে নিয়ে নেওয়া হোক কারন ভোক্তাদের অধিকার টিসিবি পাওয়ার অধিকার এটা বন্ধ রাখা আইনত দন্ডিত হওয়ার অপরাধ।
অনেকটা বিএনপির দুঃসময়ে বিএনপিকে টিকানো নামে পকেট ভারি করতেই কিছু নেতা কর্মীকে কৌশলে ব্যবহার করা হয়েছে এখন তাদের বানানো হচ্ছে আওয়ামী দোসর। বিএনপি অসময়ের সৃষ্টি বহু নেতা কর্মী যার সৃষ্টি মূলে নথি হয়ে কাজ করেছে বিএনপির কিছু লোভি নেতারা। শিবগঞ্জ বাসীর প্রাণের রাজনীতিকে একটি মহল ধংসের দিকে নিতে নিজের লোভ কে কাজে লাগাতে দ্বিধা করছে না।সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর প্রেক্ষিতে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বিউটি বেগম বলেন, আমি বিউটি বেগম শিবগঞ্জ উপজেলার দুইবারের নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছিলাম। সাবেক সভানেত্রী শিবগঞ্জ উপজেলা জাতীয়তাবাদী মহিলা দল এবং সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, বগুড়া জেলা জাতীয়তাবাদী মহিলা দল, সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, জেলা বিএনপি, বগুড়া। ২০১৮ সালে আমি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করি। কারণ সেই নির্বাচনে মীর শাহে আলম আমাকে বলেছিলেন, আমি ও মতিন ভাই দাড়াবো না,বিএনপিকে কৌশলে টিকাতে হবে এজন্য এবার আপনার একটা সুযোগ আছে। আমরা সহযোগীতা করবো নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দাড়ান।তিনি আরও বলেন, মীর শাহে আলম বরাবরই অর্থলোভী। সে আমাকে ভোটে দাড়িয়ে দিয়ে আমার প্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তাকে আমাকে ঘরে তুলে রাখার জন্য অঙ্গীকার করে। তার কথামত আমার নতুন গাড়ী ভেঙ্গে দেয় যেন আমি ভয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াই। নির্বাচনের পরে আমাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। শুধু আমি নই বিএনপির অনেক নেতাই নির্বাচন করে তারাও বহিস্কার হয়। কিছুদিন পর অবশ্য সকলের বহিস্কার আদেশ প্রতাহার করা হলেও দুর্ভাগ্য ক্রমে আমার চিঠি শিবগঞ্জের বিএনপি নেতা মীর শাহে আলম হাতে নিয়ে গোপন করেন বহিস্কার প্রত্যাহার এর চিঠি না পেয়ে আমি আমার জেলা নেত্রী লাভলী আপাকে (তিনি এখন মৃত) নিয়ে কয়েক বার মহাসচিব ও যুগ্ম মহাসচিবের কাছে গিয়েছি। এমনকি জেলার সকল মিছিল মিটিং কার্যক্রম পালন করেছি যার প্রমানের ছবি দেখাতে পারবো। জেলার সভাপতি সিরাজ এমপির কাছে বহু ধর্না দিয়েছি, এমন কোন সিনিয়র নেতা নেই যে আমি তার কাছে যাইনি। সবাই বলেছেন তোমার কার্যক্রমের কোন সমস্যা নয়, তুমি একজন পরিশ্রমি নেত্রী। কিন্তু আমাদের করার কিছু নেই
। তোমার বিষয় মীর শাহে আলম হতে দিচ্ছেনা অনেক কষ্ট নিয়ে পাঁচ বছরেও যখন বহিস্কার প্রতাহার না হয় তখন নির্বাচনে সিন্ধান্ত গ্রহণ করি। আসলে প্রায় ৩০ বছর জনগনের সাথে রাজনৈতিক পরিচয়ে থেকেছি আজও আছি যে যেখানে ডেকেছে সেখানে ছুটে গিয়েছি, রাত ১২ টা ১ টার সময়ে আমার বিএনপি পরিবারের কাউকে পুলিশ ধরে আনলে কোন নেতা শিবগঞ্জ প্রোপারে না থাকায় (মীর শাহে আলম ঢাকার থাকে) গভীর রাতে নেত্রী হিসাবে থানায় ছুটে গিয়েছি । সম্ভব হলে ছাড়িয়ে নিয়েছি না হলে প্রয়োজনীয় জিনিষ কিনে দিয়ে বাসায় এসেছি আবার সকাল বেলা গিয়ে খোঁজ নিয়েছি, কোর্ট পর্যন্ত সাথে গিয়েছি। এভাবেই কাজ করেছি, নিজের সংসার রেখে দলের লোকের কাজের পিছনে ছুটেছি, পারলে নিজের টাকা খরচ করেছি কোন দিন কেউ বলতে পারবেনা এই বিউটি আপা এই কাজ করে পয়সা নিয়েছে।তিনি বলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে আমার ছেলে শাহ নেওয়াজ বিপুল এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হয়, এক পর্যায়ে মীর শাহ আলম বলে যে তুমি ঠিকমত কাজ করো তোমার মা নির্বাচনে অংশগ্রহন করবে এবং আমার দলের সকল নেতাকর্মীরা সহযোগীতা করবে। যার একটি অডিও রেকর্ড ফেইসবুকে ব্যাপকহারে ভাইরাল হয়েছিল। যেখানে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী ছিল শরীফুল ইসলাম জিন্নাহ এমপি এবং একজন আওয়ামী লীগের ড্যামি প্রার্থী ছিলেন আকরাম হোসেন। সেখানে আমি বিউটি বেগম স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ৯০ সেন্টারে ফাস্ট হই। মাত্র ২০ সেন্টার গণনা স্থগিত করে ঘোষণা দেওয়া হল এমপি জিন্নাহ কে। আমি একটুও কষ্ট পাইনি কারন টিভিতে সব সময় প্রচার হত নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। জনগণ সরকারকে ঘৃনা করলো, আমাকে ভালবেসে এই দুঃসময়ে ৩৫ হাজার ভোট দিল। আমি কৃতজ্ঞ আমার শিবগঞ্জের জনগনের কাছে।২০২৪ সালের নির্বাচন যদি আমার দোষের হয় তবে বহিস্কার থাকা অবস্থায় স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দেওয়া পাঁচটি মামলা হল কেন আমার ও আমার ছেলের বিরুদ্ধে ?যা এখনও বিচারাধীন। আমি ও আমার ছেলে চার মাস জেল খাটলাম, সেই সব মামলায়, ভেবে ছিলাম আমার নেতা (তারেক রহমান) এবার হয়তো দলে নিবেন। জেল খাটার পরও যখন দলে নেননি তাহলে তার দলের নেতা মীর শাহ আলমের কথামত নির্বাচন করেছি এখানে আমার অপরাধ কি? বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে তারেক রহমানের নির্দেশে উদ্বুদ্ধ হয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যোগদান করি। যার প্রমাণ স্বরূপ ছবি ও ভিডিও আছে।
৫ আগস্টের পর আমার নামে, আমার ছেলের নামে, আমার স্বামীর নামে, আমার ভাসুরের ছেলে দুই জনের ৮/১০ টি মামলা দিয়েছে এবং আমার ছোট ভাইকে ধরে নিয়ে চারটি অজ্ঞাত মামলা দিয়ে চালান করাইছে মীর শাহে আলম। ক্ষমতার গন্ধ পেয়ে যারা মানুষ নামের অমানুষ হয়ে উঠেছে তার হাতে আরো ক্ষমতা আসলে কি হবে আল্লাহ জানেন। জননেতা তারেক রহমানের ডাকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেও আজ আমাদের পরিবার ঘড় ছাড়া, শুধু আমরাই নই বিএনপির প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী ঘড় ছাড়া। শিবগঞ্জের বিএনপি মানেই মীর শাহে আলমের অন্যায় মেনে নিতে হবে। উদাহরনস্বরুপ বিএনপি নির্বাচন করেনি কিন্তু মীর শাহে আলম ঘরে বসে থাকেনি। উনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান মানিকের দুইবার পৌর নির্বাচন করেছেন। এই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের পক্ষেও নির্বাচন করে দিলেন মীর শাহে আলম। ইতিমধ্যে তার ইশারাই আওয়ামী লীগকে পূর্ণবাসনে কাজ শুরু করেছে শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির নেতারা মোটা অংকের টাকা খেয়ে তারা চিহ্নিত যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমকে দেউলী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নির্বাচিত করে।
সেই সাথে তার নামে দুইটি মামলা থাকার পরেও র্যাব ১২ অফিস থেকে আটক হওয়ার পর এই যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম কে ছারিয়ে নিতে তৎপর হয়ে ওঠেন এবং ছাড়িয়ে নেন দেউলী ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক সবুজ ওয়াদুদ নামের দুইজন বিএনপি নেতা। জানাগেছে, শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মির শাহ আলমের খুব কাছের আত্মীয় এই বিএনপি নেতা ওয়াদুদ।
এরকমভাবে শিবগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে যতগুলো ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্যানেল চেয়ারম্যান আছে তাদের সবার কাছ থেকেই হয়েছে মোটা অংকের বিনিময়। তাদের প্রত্যেককে শিবগঞ্জে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন বিএনপির বর্তমান উপজেলা সভাপতি মীর শাহ আলম।