উজিরপুর প্রতিনিধি :- উজিরপুর মডেল থানায় হলুদ আর সবুজের সমারোহ। সবজি চাষে সুনাম কুড়িয়েছেন ওসি
কামরুল হাসান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনার ঘোষনার পরেই উজিরপুর মডেল থানার পরিত্যাক্ত জমিতে চাষাবাদ
শুরু করেন ওসি। বালি আর দূর্বা ঘাসে সয়লাব জমিতে চাষাবাদ দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির শাক ও সবজির বীজ বপন
করেন। নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও পরিচর্যার মাধ্যমে মাত্র ৪০ দিনে পুরো থানা কম্পাউন্ডের মধ্যে শুধু হলুদ আর সবুজে
একাকার। ইতিমধ্যে থানা পুলিশ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজ ও দরিদ্র ব্যক্তিদের
শাক ও সবজি বিতরণ করেছেন তিনি। যেখানে কখনো শাক সবজির চাষতো দূরের কথা মানুষ ঢুকতেও পারতো না
সেখানে আজ দৃষ্টিনন্দন শাক ও সবজির প্রদর্শনী। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন লোক এখানে এসে শাক সবজি নিচ্ছেন ও
ছবি তুলছেন। তার এ প্রদর্শনীতে রয়েছে লাল শাক, পালংশাক, ধনিয়াশাক, মুলা, ওলকপি, টমেটো, বেগুন, লাউ, কুমড়া,
গোলআলু, মিষ্টি আলু, কাঁচা মরিচ, আখসহ বিশাল এক হলুদের সা¤্রাজ্য সরিষাক্ষেত। পরিশ্রম করলে যে মরুভ‚মিতেও
ফসল ফলানো যায় তার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ওসি কামরুল হাসান। তিনি ইতিমধ্যে আইন শৃঙ্খলা থেকে শুরু করে
প্রশাসনিক ক্ষেত্রে অত্যন্ত দক্ষ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তার এ কর্মযজ্ঞ দেখে অনেকেই অনুপ্রানিত হয়েছেন।
মডেল থানার ওয়ারলেস অপারেটর আবুল বাশার জানান, কাজের ফাঁকে ফাঁকে এই সবজি বাগানে সময় দিয়ে নিজেকে
অত্যন্ত ধন্য মনে হচ্ছে। এছাড়া আরো ২/৩ জন এই সবজি ক্ষেতের পরিচর্যা করছেন। উজিরপুর মডেল থানার অফিসার
ইনচার্জ কামরুল হাসান জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষনা দিলেন, যার যেটুকু পরিত্যাক্ত
জমি আছে সেখানে ফসল ফলানোর জন্য। তখনই চিন্তা করলাম মডেল থানায় প্রচুর পরিত্যাক্ত জমি রয়েছে। তা সরকারি
দায়িত্ব পালনের ফাঁকে ফাঁকে বিষমুক্ত সবজি চাষ করে নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে অন্যকেও বিতরণ করতে পারি। আর
এগুলি দেখে অনেকেই অনুপ্রাণিত হয়েছে।
নাজমুল হক মুন্না