চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিঃ-
প্রীতিলতা হলের এক ছাত্রী গত ১৭ জুলাই রোববার রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার দিকে ক্যাম্পাসের ভেতর হেনস্তার শিকার হয়েছেন। এই ব্যপারে চবি ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন –
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের, আমারই ছোটো বোন, যে কিনা বিপদে পড়ে সবার আগে আমাকেই ফোন করেছে। আমি সাথে সাথেই প্রক্টরকে জানাতে বলি, এবং তার সহযোগিতার জন্যে দ্রুত শহর থেকে ক্যাম্পাসে আসি। তখন সে জিরো পয়েন্টে বিমর্ষ হয়ে বসে ছিলো। তার কাছে পুরো ঘটনা শুনে সাথে সাথেই সহকারী প্রক্টর শহীদ স্যারকে ফোন করি এবং পরদিন প্রক্টর রবি স্যারকে, ঘটনার ভয়াবহতার কথা উল্লেখ করে, তড়িৎ গতিতে পাঁচ অপরাধীকে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে বলি। আমি তাকে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ দেয়ার ব্যাপারে শতভাগ উৎসাহ প্রদান করি। কোনো ভাবেই অভিযোগ দেয়ার ব্যাপারে একবিন্দু পিছপা হতে বলি নাই। কোনো একটি গোষ্ঠী নিজস্ব রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য, আমার বোনের সাথে ঘটে যাওয়া এই নৃশংস ঘটনাকে পুজি করে, একটা অপরাজনীতির কৌশল অবলম্বন করার অপচেষ্টা করে যাচ্ছেন। দয়া করে আমার বোনের সাথে ঘটে যাওয়া এই নির্মম ঘটনা নিয়ে নোংরা রাজনীতি করবেন না। যেই পাঁচ কুলাঙ্গার এই হীন কাজটি করেছে তাদের চিহ্নিত করে, তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি বিধানের জন্য দাবি তুলুন৷আমি অত্যন্ত দৃঢ়চিত্তে বলছি, আমি কোনোভাবেই অভিযোগ দেয়ার ব্যাপারে কাউকে বিন্দু পরিমাণ নিরুৎসাহিত করি নাই। দয়া করে এই নোংরা রাজনীতি কিংবা প্রকৃত ঘটনা, কিংবা প্রকৃত অপরাধীদের বাদ দিয়ে ব্লেইমগেইম খেলবেন না। আপনারা যদি আমার ছোটোবোনের এই ঘটনায় আবেগ আপ্লুত হন, তাহলে ঐ পাঁচ কুলাঙ্গারের বিচার দাবি করুন, রাজনীতিকরন নয়।
আমার বোনের সাথে ঘটে যাওয়া নির্মম ঘটনার,আমরা বিচার চাই,
কোনোভাবেই অপরাজনীতি নয়।
তিনি এই জঘন্যতম ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান, এবং অপরাধীদের দ্রুততম সময়ে মধ্যে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
বাদশাহ/প্রাইভেট ডিটেকটিভ ২১/০৭/২০২২