December 22, 2024, 8:09 pm

সংবাদ শিরোনাম
পুলিশ ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়, পুলিশ ও জনগণ একে অন্যের পরিপূরক-রেজাউল করিম মল্লিক দলের পরিবর্তন হয়েছে চরিত্রের পরিবর্তন হয়নি শায়খে চরমোনাই মুফতি ফয়জুল করীম আপনারা শান্তিতে থাকুন আমরা চাই,আমাদেরকেও আপনারা শান্তিতে থাকতে দিন- ডা. শফিকুর রহমান যশোরে গাছের সাথে বাসের ধাক্কায় নিহত ১ পার্বতীপুরে ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা ২০২৪ অনুষ্ঠিত বাংলাভিশন ডিজিটালের নির্বাহী সম্পাদকের বিরুদ্ধে নাবিলের অপপ্রচারের প্রতিবাদ হিলিতে বিজিবি দিবসে বিএসএফকে মিষ্টি উপহার বিজিবির কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে আওয়ামী লীগের নেতা গ্রেপ্তার পটুয়াখালীতে বাড়ির সীমানা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত-৬ গভীর রাতে আশ্রায়ন প্রকল্পের শীতার্তদের পাশে হাকিমপুরের ইউএনও অমিত রায়

‘বাংলাদেশের পোশাক শিল্প পরিবেশগত টেকসই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’

দেশের তৈরি পোশাক শিল্পখাত উৎপাদনে দূষণ কমিয়ে পরিবেশবান্ধব শিল্পায়ন ও সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের পোশাকখাত পরিবেশগত টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে অনন্য অগ্রগতি সাধন করেছে। বিশ্বের সর্বোচ্চ সংখ্যক পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানা বাংলাদেশে। পোশাক শিল্প পরিবেশগত টেকসই উন্নয়নে তার ধারাবাহিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার ওয়েস্টিন হোটেলে বিজিএমইএ ও ওয়াটারএইডের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‌‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেইনওয়াটার হার্ভেস্টিং সাসটেইনেবল এপ্রোচ টু ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজিএমইএ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অনুষ্ঠানে ওয়াটারএইড এর কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান গেষ্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ওয়াটারএইড এর পরিচালক পার্থ হেফাজ শেখ সভাপতিত্ব করেন এবং স্বাগত বক্তব্য দেন। অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাপারেল ইয়ুথ লিডার্স এসোসিয়েশন-বায়লা সভাপতি আবরার হোসেন সায়েম।
গোলটেবিল বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন,‘আমাদের ইউএসজিবিসি থেকে প্রত্যয়িত ১৫৭টি গ্রীন কারখানা রয়েছে এবং এগুলোর মধ্যে ৪৭টি প্লাটিনাম রেটেড, ৯৬টি গোল্ড রেটেড। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ১০০টি গ্রীন কারখানার মধ্যে ৪০টি কারখানাই বাংলাদেশে অবস্থিত। আরও ৫০০টি কারখানা প্রত্যয়িত হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এই গ্রীন কারখানাগুলো পরিবেশবান্ধব বৈশিষ্ট্যসম্পন,œ যা প্রায় ৪০ শতাংশ কার্বন নিঃসরন কমায় এবং এসব কারখানায় প্রচলিত ভবনগুলোর তুলনায় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কম পানির ব্যবহার হয়।’সবুজ কারখানাগুলো কারখানা অভ্যন্তরে শ্রমিকদের জন্য তাপমাত্রাজনিত আরামদায়ক ব্যবস্থা ও অত্যাধুনিক স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে, দিনের আলোর সদ্ব্যবহার করে, বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করে এবং এএসএইচআরই মান অনুযায়ী কারখানা অভ্যন্তরে বায়ুর গুনগত মান বজায় রাখার ব্যবস্থা রাখে, যা শ্রমিকদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির সহায়ক।

ফারুক হাসান বলেন, বর্ষার পানি বাংলাদেশের জন্য আশির্বাদস্বরূপ এবং বৃষ্টির পানিকে বিশুদ্ধ জল হিসেবে বিবেচনা করা হয়।বক্তব্য প্রদানকালে তিনি মত প্রকাশ করেন, বর্তমান প্রেক্ষাপট এবং বর্ষাকালে বৃষ্টির জল সংগ্রহ Ñ এই ধারনাটি পোশাক শিল্পে উদ্ভাবনার দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে। আমরা এখন দেখি, অনেক পোশাক কারখানাই কারখানার উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় বৃষ্টির পানি সংগ্রহকরনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বিজিএমইএ একটি প্রগতিশীল সংগঠন হিসেবে পানি সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনার বিষয়ে সদস্যভুক্ত কারখানাগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করেছে এবং কারখানাগুলোকে বৃষ্টির পানি সংগ্রহের জন্য সক্রিয়ভাবে উৎসাহিত করেছে।ওয়াটারএইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান বলেন, ‘ভূগর্ভস্থ পানি ক্রমশঃ হ্রাস পাওয়ার কারনে আসন্ন দিনগুলোতে যে পানি সংকটের মুখে আমরা পড়তে যাচ্ছি, তা সমাধানে আমাদের সবাইকে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে গ্রহন করতে হবে। প্রশস্ত স্থানসহকারে উন্মুক্ত ছাদ একটি টেকসই সমাধান হতে পারে এবং ব্যবসায় বিশেষ করে শিল্পে ক্রমবর্ধমান পানির চাহিদা মেটানোর উত্তম উৎস হতে পারে।’

বায়লা এর সভাপতি আবরার হোসেন সায়েম বলেন, ‘অনেক আধুনিক শিল্প টেকসই উৎপাদন এবং পানি সংরক্ষণ প্রক্রিয়ায় তাদের পদচিহ্ন রেখেছে। ভবিষ্যতের বিপর্যয় মোকাবেলায় ভূগর্ভস্থ পানির উপর নির্ভরশীলতা কমাতে শিল্পগুলো বৃষ্টির পানি সংগ্রহের পদ্ধতি গ্রহন করছে। তরুণরাই দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতির সম্ভাবনাময় চালক। সুতরাং, তরুণদেরকে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করে রাখার বিষয়ে ধারনা প্রদান করতে হবে, যাতে করে তারা আগামী দিনগুলোতে পানি সংকট মোকাবেলায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।’

সাম্প্রতিক সময়ে, বাংলাদেশের পোশাক ও বস্ত্র কারখানাগুলো রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং সিস্টেম চালু করে সবুজ নীতি বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং টেকসই পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনায় বিদ্যমান উদ্যোগগুলো পরিবেশের উপর ক্ষতিকর প্রভাব কমিয়ে ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করছে।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর