ডিটেকটিভ ডেস্কঃঃ
মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনিকে ২য় ও ৩য় দফায় রিমান্ড দেয়ার ক্ষেত্রে বিচারিক আদালতের দুই বিচারকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে হাইকোর্ট। এছাড়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে ১৫ সেপ্টেম্বর নথিসহ তলব করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রিমান্ড মঞ্জুরকারী ঢাকার সংশ্লিষ্ট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের কি উপাদানের ভিত্তিতে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন এর ব্যাখ্যা জানাতে বলা হয়েছে। এর জবাব সন্তোষজনক না হলে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটদের আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হবে।
একইসঙ্গে রিমান্ড চাওয়ার কারণ ও নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে নথিসহ (সিডি) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ১৫ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি পরবর্তী আদেশের জন্য ১৫ সেপ্টেম্বর দিন রেখেছেন হাইকোর্ট বেঞ্চ।
চিত্রনায়িকা পরীমনিকে তিন দফায় সাতদিনে রিমান্ডে নেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে স্বতঃপ্রণোদিত রুল চেয়ে হাইকোর্টে এর আগে আবেদন করে আইন ও সালিশ কেন্দ্র।
বৃহস্পতিবার শুনানিতে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের আইনজীবী মো. শাহীনুজ্জামান শাহীন বলেন, উচ্চ আদালতের রায় অনুসরণ না করে দফায় দফায় রিমান্ড দেয়া হয়েছে পরীমনিকে। জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের বিধানও অনুসরণ করা হয়নি।
তবে, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মিজানুর রহমান আদালতকে জানান, এখানে আইনের কোন ব্যতয় ঘটেনি। তদন্তকারী সংস্থা পরিবর্তন হওয়ায় তদন্তের স্বার্থেই বার বার রিমান্ড আবেদন করা হয়।
পরে হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের দুই বিচারকের কাছে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় রিমান্ড মঞ্জুরের ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছে। একইসাথে নথিসহ তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তলব করেছে হাইকোর্ট।
আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করেছে হাইকোর্ট। এর আগে গত ৪ আগস্ট বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় তাকে।
পরে বনানী থানায় পরীমনির নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে র্যাব। এরপর তিন দফায় পরীমনিকে মোট সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ২৬ দিন কারাবাসের পর বুধবার মুক্তি মেলে চিত্রনায়িকা পরীমনির।
//ইয়াসিন//