ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্যানেল অবৈধ ঘোষণা
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নির্বাচনের লক্ষ্যে মনোনীত তিন সদস্যের উপাচার্য প্যানেল অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে ছয় মাসের মধ্যে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ঢাবির সিনেট গঠনেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি কাজী ইজহারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ বিষয়ে জারি করা একটি রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে এ রায় দেন। রায়ে উপাচার্য মনোনয়নের লক্ষে গত ২৯ জুলাই সিনেটের বিশেষ সভা আহ্বান করাকেও অবৈধ ঘোষণা করেন আদালত। রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইসরাত জাহান। এর আগে এক আদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্যানেল মনোনয়নের জন্য ২৯ জুলাই ডাকা সিনেটের বিশেষ সভা স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আদালত, সিনেট অধিবেশন ডাকা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। রুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আদেশ ১৯৭৩ সালে ২০ (১) ধারা অনুযায়ী সিনেট গঠন না করে ২৯ জুলাই ডাকা সভা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়। চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়। গত ১৬ জুলাই ঢাবির রেজিস্ট্রার একটি চিঠি দেন সিনেট সভার জন্য। যাতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ, ১৯৭৩ আর ২১ (২) ধারার অর্পিত ক্ষমতাবলে উপাচার্য ২৯ জুলাই বিকেল ৪টায় সিনেটের বিশেষ সভা আহ্বান করেছেন। ওই বিশেষ সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ ১৯৭৩, ১১(১) ধারা অনুযায়ী চ্যান্সেলর কর্তৃক ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগের জন্য তিনজনের একটি প্যানেল মনোনয়ন করা হবে। ভাইস চ্যান্সেলরের প্যানেলে যাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রস্তাব করা হবে, নাম প্রস্তাবকালে তাদের লিখিত সম্মতি সিনেট চেয়ারম্যানের নিকট পেশ করতে হবে। ওই সভায় উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করছি। এই চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ ১৫ জন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট রিট আবেদন করেন। সেই রিটের শুনানি নিয়ে এসব আদেশ দেন আদালত। এদিকে ঢাবির ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত ৪ সেপ্টেম্বর ভিসি হিসেবে সাময়িক নিয়োগ পান উপ-উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান।