ডিটেকটিভ ডেস্কঃঃ
বৃহস্পতিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক ১৯৪ রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর আগের দিন বুধবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ১৫৩ রোগী ভর্তি হন। মঙ্গলবার ভর্তি হন ১৪৩ জন। সোমবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ১২৩ জন ডেঙ্গু রোগী।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম জানিয়েছেন গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১৯৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন তার মধ্যে ১৮১ জনই রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা। তিনি জানিয়েছেন অধিকাংশ রোগী সুস্থ হয়ে এর মধ্যেই বাড়ি চলে গেলেও এখনও বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৬৪২ ডেঙ্গু রোগী। এদের মধ্যে ঢাকায় ৬১৮ জন এবং অন্যান্য বিভাগে ২৪ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নিজ নিজ বাসস্থানে কতজন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন তার হিসেব পাওয়া যায় নাই।
অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম জানান, এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই মাসের এ পর্যন্ত ২ হাজার ২৯২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন যার মধ্যে জুলাই মাসের ২৯ দিনেই ভর্তি হয়েছেন ১৮২০ জন। ডেঙ্গুর উপসর্গ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট ৪ জনের প্রাণহানির খবর দিয়েছে গণমাধ্যম যার মধ্যে গতকাল ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গুর উপসর্গ নিয়ে সাদিয়া নামে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, রাজধানী ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের দুই মেয়র ও কর্মকর্তারা বুধবার থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহি এডিস মশার বিস্তার রোধে নিজ নিজ এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য জনগণকে পরামর্শ দেন।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বেনাজির আহমেদের কাছে ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে করণীয় সম্পর্কে বলেন, ডেঙ্গুর বিস্তারকে যদি শিগগির রোধ করা না যায়, তবে করোনার ভারে চাপে থাকা দেশের স্বাস্থ্য সেবা খাতে বিপর্যয়ের সৃষ্টি হবে। তিনি ডেঙ্গু রোধে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে দেশের কীটতত্ত্ববিদদের কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়ে জরুরি ভিত্তিতে একটি জনসম্পৃক্ত কর্মসূচি গ্রহণের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন সর্বস্তরের মানুষকে এই কর্মসূচির সাথে সম্পৃক্ত করা গেলে আশা করা যায় আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই ডেঙ্গুর প্রকোপ রোধ করা সম্ভব হবে।
//ইয়াসিন//