January 24, 2025, 9:01 am

সংবাদ শিরোনাম
যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জনাব নাসির আহমদ শাহিনের পক্ষ থেকে অনূর্ধ্ব ১৪ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় ও অফিসিয়ালদের আপার প্রদান লক্ষ্মীপুর প্রিন্ট মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের কমিটি গঠন চট্টগ্রামে সাড়ে ৭ লাখ টাকার বিদেশি সিগারেটসহ যুবক গ্রেপ্তার চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা অ্যালাউন্স প্রদানের অসম্মতি আদেশ প্রত্যাহার এবং নিয়োগে বৈষম্য দূরীকরণের দাবিতে বিক্ষোভ দীর্ঘ ১৫ বছর পরে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন সফল করতে হিলিতে জামায়াতের মিছিল নীলফামারীতে বিজিবির উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ গৌরনদীতে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যহতি পেলেন সিনিয়র সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম জহির শেরপুরে বিনামূল্যে বিতরণের প্রায় ৯ হাজার বই জব্দ! আটক সাদুল্লাপুরে অপরাধের উর্ধ্বগতি, জনমনে উদ্বেগ

তারাগঞ্জে অপরিকল্পিত গুচ্ছ গ্রাম নির্মান নদীগর্ভে বিলিনের আশংকা

এম.এ.শাহীন, তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধিঃঃ

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় চিকলী নদীর ধারে বালু ভরাট করে অপরিকল্পিত ভাবে নির্মাণ হচ্ছে ভূমি মন্ত্রনালয়ের আশ্রয়ন প্রকল্পের গুচ্ছগ্রাম। অপরিকল্পিতভাবে নির্মান হওয়া এ গুচ্ছগ্রাম যেকোনো মূহুর্তে নদীগর্ভে বিলীনের আশংকা করছে এলাকার সচেতন মহল।   এলাকাবাসীর অভিযোগ ও সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভূমি মন্ত্রননালয়ের (আশ্রয়ন প্রকল্প-২) এর আওতাধীন  গুচ্ছগ্রামটি নির্মিত হচ্ছে নদীর বালু উত্তোলন করে বালুচরে। ভূমিহীন ৩০ টি পরিবারের জন্য ২কক্ষ বিশিষ্ট মোট ৩০ টি ঘর নির্মানের কাজ চলছে এখানে। এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, এলাকায় আরও খাস জমি থাকলেও কেন নদীর চরে ভূমিহীনদের জন্য আশ্রয়ন প্রকল্প নির্মিত হচ্ছে তা আমাদের বোধগম্য নয়।
এলাকার ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল বলেন, এ ইউনিয়নে ১ নং খতিয়ানে খাস মোট জমির পরিমান ৫১.৯৭ একর, কিন্তু ২৫৪২-৪৭ দাগের ১.৫৪ একর জমিতে গুচ্ছগ্রাম নির্মিত হচ্ছে। বালুচর ছাড়াও আরও ৫০ একরের বেশী খাস জমি রয়েছে এই এলাকায়। কিন্তু নদী চর বেছে নেয়াটা এলাকাবাসীর মনে প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে। কামার পাড়া গ্রামের রাজু মিয়া, হরিলাল, ধীরেন্দ্র, শফিকুল আক্ষেপ করে বলেন, ‘বালুত ভরাট করিয়া বানাছে হামার এলাকার গরীব মানুষের জন্য গুচ্ছগ্রাম, কয়দিন থাকপে কে জানে”।
নদীর চরের কোনো দিকে বাঁধ না থাকায় বড় ধরনের বৃষ্টি, বন্যা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে গুচ্ছগ্রামের ঘর ভেঙ্গে বিলিন হয়ে যেতে পারে আশ্রয়ন প্রকল্পটি এতে সরকারী বরাদ্দের পুরো টাকা বিফলে যাবার আশংকাও রয়েছে। এ ব্যাপারে তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিনুল ইসলাম এর সাথে তার অফিস কক্ষে কথা হলে তিনি বলেন, উপজেলার সয়ার ইউনিয়নে ভূমি মন্ত্রনালয়ের আশ্রয়ন প্রকল্পের গুচ্ছগ্রামের মোট বরাদ্দ কত টাকা তা মনে নেই, তবে প্রতিটি পরিবারের ঘরের বরাদ্দ দেড় লক্ষ টাকা।
নদী গর্ভে বিলীনের আশংকার কথা বললে তিনি বলেন, উদ্ধতন কর্তৃপক্ষ কয়েকবার সার্ভে করেছে ভেঙ্গে গেলেও আমার করার কিছুই নেই। গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প চেয়ারম্যান ও ৫নং সয়ার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আজমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি শুধু প্রকল্প চেয়ারম্যান এর বেশী জানিনা।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর