ডিটেকটিভ ডেস্কঃঃ
১০ হাজার গ্রাহকের প্রায় ৩০ কোটি টাকা নিয়ে উধাও লালবাগ জনকল্যাণ ফাউন্ডেশনের পরিচালক সাবেক ছাত্রদল নেতা মাঈনউদ্দিন কাদের রাজু। অভিযোগ রয়েছে, এ টাকায় বাড়ি, রেস্টুরেন্টসহ বিপুল সম্পত্তি গড়েছেন তিনি। স্থানীয় কাউন্সিলর বলছেন, রাজু লাপাত্তা থাকায় তাদের বাড়ি ভাড়া থেকে এখন পর্যন্ত ১২ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
জনকল্যাণ ফাউন্ডেশনের একজন গ্রাহক মর্জিনা বেগম। দিনমজুর স্বামীর রোজগার থেকে ৫০টাকা করে বাঁচিয়ে, লালবাগ জনকল্যাণ ফাউন্ডেশনে খুলেছিলেন তিনটি সঞ্চয়ী হিসাব। কয়েক বছরে লাভসহ তার জমা হয়েছে ৭৫ হাজার টাকা। কিন্তু এখন টাকা পাচ্ছেন না তিনি।
একই এলাকার বৃদ্ধা রোজিনা বেগম। প্রতিমাসে লাখে তিন হাজার টাকা পাওয়ার আশায় জমা করেছিলেন ১৪ লাখ টাকা। এখন চিকিৎসার জন্যও টাকা মিলছে না।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, ২০০৩ সালে যাত্রা শুরু এই সমিতির সদস্য প্রায় ১০ হাজার। যাদের অন্তত ৩০ কোটি টাকা জমা রয়েছে লালবাগ জনকল্যাণ ফাউন্ডেশনে। টাকা না দিয়েই এলাকা ছেড়েছেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক রাজু। বন্ধ তার অফিস কক্ষ। এমনকি টাকা চাইতে গেলে, রাজুর সহযোগী আয়েশার কাছে হয়রানির শিকার হন ফাউন্ডেশনের সদস্যরা।
বিষয়টি জানানো হয়েছিল স্থানীয় সংসদ সদস্যকে। এরপর টাকা দেয়ার আশ্বাস দেয় রাজু। কয়েকজনকে দিলেও পুরো টাকা দেয়নি কাউকে।
এসব বিষয়ে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের মুখোমুখি রাজু। তিনি দাবি করেছেন, ২০৫ জনকে টাকা দিয়েছেন। অজুহাত দেখালেন, টাকা আত্মসাৎ করেছে কর্মীরা।
রাজুর দেয়া তালিকা ধরে যোগাযোগ করা হয় কয়েকজনের সাথে। তাদের একজন তেইজি হোসেন। জানালেন, অর্ধেক টাকা দেয়ার আশ্বাস দিলেও কিছুই পাননি তিনি।
বিষয়টি জানেন, স্থানীয় কাউন্সিলর ডিএসসিসি ২৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোকাদ্দেস হোসেন। তিনি বললেন, রাজুদের বাড়িভাড়ার টাকা তুলে অনেককে দেয়া হয়েছে। তবে কবে সব পাওনাদারের টাকা পরিশোধ হবে জানা নেই কাউন্সিলরের।
সমিতিটির পরিচালক রাজু লালবাগ থানা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভুক্তভোগীরা।