ফরিদপুরে এখনও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের পৃষ্ঠপোষকরা। দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগে এ পর্যন্ত ১৭ জন গ্রেপ্তার হলেও অনেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন বহাল তবিয়তে। তবে, গ্রেপ্তার আতঙ্কে প্রভাবশালীদের নানা অনিয়মে সহায়তাকারীরা।
দুই হাজার কোটি টাকার মানি লন্ডারিং মামলা ও ফরিদপুর জেলা আ.লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে ১৬ মে রাতে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৭ জুন থেকে শুরু হয় শুদ্ধি অভিযান। এতে অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের সঙ্গে সম্পৃক্তদের অনেকেই গ্রেপ্তার আতঙ্কে পালিয়েছে।
শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের স্বীকারোক্তিতে আটক করা হয়, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার নাজমুল হাসান লেভী, জেলা শ্রমিক লীগের অর্থ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমান ফারহান, আওয়ামী লীগ নেতা ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহফুজুর রহমান মামুন, জেলা ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সভাপতি নিশান মাহমুদ শামিমসহ মোট ১৭ জনকে। এই শুদ্ধি অভিযানে দলে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশা স্থানীয়দের।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, দলকে ব্যবহার করে যারা অবৈধ অর্থ হাতিয়েছেন তারা এখন আতঙ্কিত। তাদের কঠোর শাস্তির দাবি নেতাদের।
পর্যায়ক্রমে অপরাধী সবাইকে আইনের আওতায় আনার কথা জানিয়েছে জেলা পুলিশ।
দলে শৃঙ্খলা ফেরাতে অঞ্চলভেদে নয়, যেখানে অনিয়ম যেখানেই শুদ্ধি অভিযান চালানোর কথা জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
নিরাপরাধ কারোই আতঙ্কিত হবার কোনো কারণ নেই বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।