October 6, 2024, 6:31 am

সংবাদ শিরোনাম
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জামায়াত নেতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিনের স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে হলে সশস্ত্র ট্রেনিং এর প্রয়োজন। বৈষম্য বিরোধী অভিভাবক ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কমিটির (পর্ব- ৪) ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে গড়তে হলে সংস্কার প্রয়োজন=== বৈষম্য বিরোধী অভিভাব ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নাটোর পল্লী বিদ্যুত সমিতিতে অদ্ভুতুরে কাণ্ডকীর্তি ভোলা বোরহানউদ্দিনে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষকগণের ১০ম গ্রেডের দাবিতে মানববন্ধন শারদীয় দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের লক্ষে বগুড়ায় বিএনপির মতবিনিময় সভা! লক্ষ্মীপুরে কুমিরের আতঙ্কে এলাকাবাসী সাংবাদিক পুত্র আবির হোসেন অনন্ত’র জন্মদিন আজ বিল্লাল হুসাইন ক্ষমতা! নাকি আড়ালে ছিলো ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী হাসিনার?

পটিয়ায় হাইওয়ে পুলিশের কোটি টাকার দুর্নীতি : পরিবহন শ্রমিক থেকে জরিমানা আদায় হলেও জমা হয়না রাষ্ট্রীয় কোষাগারে

পটিয়ায় হাইওয়ে পুলিশের কোটি টাকার দুর্নীতি : পরিবহন শ্রমিক থেকে জরিমানা আদায় হলেও জমা হয়না রাষ্ট্রীয় কোষাগারে
পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি


চট্টগ্রামের পটিয়ার শিকলবাহা ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে কোটি টাকার অনিময় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে পরিবহন সেক্টরে অনিয়ম দুর্নীতি নৈরাজ্য চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।
জানা যায়, প্রতি মাসে দুই শতাধিক পরিবহনের বিরুদ্ধে হাইওয়ে পুলিশ মামলা দায়ের করা হয়। প্রতি মামলায় জরিমানা বাবদ ৩ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়। মামলায় জরিমানা বাবদ যে টাকা আদায় করা হয় তার একটি অংশ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দিয়ে নিজেরা ভাগভাটোয়ারা করার অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশের টিআই এ.বি.এম মিজানুর রহমান নিজেই দুর্নীতিবাজ চক্রের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছেন বলে তিনি সম্প্রতি জাতীয় দৈনিক পত্রিকাকে জানিয়েছেন। হাইওয়ে পুলিশ পরিবহন থেকে জরিমানা বাবদ প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা বিনা রশিদে আদায় করা হয়েছে। কি পরিমাণ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়া হচ্ছে টিআই মিজানুর রহমান জানার কথা থাকলেও তিনি জানাতে পারেননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পরিবহন শ্রমিক নেতারা জানান, ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট সোহেল সরকার সর্বক্ষমতার অধিকারী বলেও তিনি জানান। পশ্চিম পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত এক বছরে ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে মামলা হয়েছে প্রায় ৩ হাজার। সে হিসেবে মামলা বাবদ তিন হাজার টাকা করে হলে ৩০ লাখ টাকা, ৮ হাজার টাকা করে হলে ২ কোটি ২৪ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশে গত এক বছরে কত টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছে সেটা তদন্ত করে দুর্নীতির তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে পরিবহণ মালিক শ্রমিক নেতারা জানিয়েছেন। এছাড়াও পটিয়া, চন্দনাইশ, আনোয়ারা, বোয়ালখালী, সাকানিয়া, লোহাগাড়া, বাঁশখালী, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলা সহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রায় ১০ হাজার সিএনজি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চলাচলের নিষিদ্ধ হলেও পুলিশকে মাসোয়ারা দিয়ে চলছে। এরমধ্যে আনোয়ারা চৌমুহনী ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি প্রতি মাসে ২০০ টাকা, মইজম্যার টেক ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি প্রতি ২০০ টাকা, হাইওয়ে পুলিশ গাড়ি প্রতি ৩০০ টাকা দিয়ে চলাচল নিষিদ্ধ গাড়ি চলাচল করছে। মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ গাড়ি চলাচলের সুযোগ করে দেয়ার জন্য প্রতি সিএনজি ট্যাক্সিকে মাসিক টোকেন দিচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ, আবদুর রহিম, বদিউর রহমান, মুজিবুর রহমান, জামাল উদ্দিন, আলী হোসেন, নুর নবী, আজগর আলী নামের সিএনজি চালকরা জানান, আমরা প্রতিদিন গাড়ি নিয়ে একবার গ্যাস নিতে গ্যাস পাম্পে যায়। এটার জন্য আমাদের পুলিশের কাছ থেকে টোকেন নিতে হয়। প্রতি মাসে প্রায় টোকেন ছাড়াও পুলিশকে দেড় হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয় আমাদের। এ বিষয়ে সিএনজি টেম্পো শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জামাল আহমদ বলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে সিএনজি গ্যাস পাম্পে গ্যাস নেয়ার জন্য আসলে ট্রাফিক পুলিশ তাদেরকে হয়রানি করে, অনেক সময় শ্রমিকদের হয়ে ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে আমাদের প্রতিবাদ করতে হয়। ট্রাফিক পুলিশ মইজ্যার টেক এবং চৌমুহনিতে সিএনজিগুলো ধরে ধরে চাঁদাবাজি করে কেউ কেউ পুলিশের হয়রানি থেকে বাঁচতে ট্রাফিক পুলিশ থেকে মাসিক টোকেন নিয়ে সড়কে গাড়ি চালায় বলে তিনি জানান। সম্প্রতি প্রতিবেদককে ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশ সার্জেন্ট সোহেল সরকার বলেছিলেন, গাড়ি চলাচল করলে আমার মামলা দিচ্ছি জরিমানা দিয়ে ছেড়েও দিচ্ছি, গত এক বছরে প্রায় তিন হাজারটি মামলা হয়েছে মামলার বিপরীতে সরকারকে কি পরিমাণ রাজস্ব কোষাগারে দিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমাদের অফিসিয়াল বিষয় অনেক সময় মিডিয়াকে সব কিছু বলা যায় না। অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে তিনি বলেন, আমি দুর্নীতি করছি কি করি নাই সেটা কেউ প্রমাণ করতে পারবে না। আমার উপরের মহলকে যেভাবে জবাব দেয়া দরকার আমি সেটা দেব।
ঐ সময় পটিয়া হাইয়ে পুলিশের টিআই এ.বি.এম. মিজানুর রহমান বলেন, আমি কাগজে কলমে আছি এখানে বাস্তবে আমি কিছুতেই নেই। সার্জেন্ট সব ক্ষমতার অধিকারী তারা আমাকে প্রয়োজন আছে মনে করছে না। মামালার বিপরীত টাকা নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, টাকা নিলে রসিদ দিতে হবে বিনা রশিদে টাকা নিলে এ টাকা সরকারের রাজস্ব জমা হচ্ছে সেটার প্রমাণ কি, এ ধরণের ঘটনা আমাকে অনেকে বলেছে। তিনি বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন বলে জানান।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর