রংপুর মিঠাপুকুর থানায় পুলিশি নির্যাতনের কবলে গোটা পরিবার
জেলা প্রতিনিধি রংপুরঃ
৩০ ডিসেম্বর ২০১৭, রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মিঠাপুকুর থানার অভিরামপুরে নূরপুর গ্রামে পুলিশ কর্তৃক নির্যাতিত পরিবারের এক সদস্যা মোছা: ফরিদা বেগম মিঠাপুকুর থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত আজিমুদ্দিন ও সাব ইন্সপেক্টর জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে তার পরিবারকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানী ও নির্যাতনের অভিযোগ করেন। অভিযোগকারীনি বলে, তার বড় ভাই এরশাদ আলী রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানায় একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করে। ঐ স্কুলের জন্য একটি বৈদ্যুতিক মিটার খারাপ হওয়ার কারণে পরবর্তীতে একটি নতুন মিটার পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে শঠিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা শরিফ মিয়ার সাথে তুচ্ছ বিষয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে শরীফ মিয়ার বড় ভাই মিঠাপুকুর থানার পুলিশ পরিদর্শক আজিমুদ্দিন, সাব ইন্সপেক্টর জিয়াউর রহমান গত ২৭ নভেম্বর ২০১৭ গভীর রাতে এরশাদ আলীর বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে বেদম মারপিট করে ও থানায় নিয়ে আসে। এরপর এরশাদ আলীর দু’পা ভেঙ্গে দেয় ও মিঠাপুকুর থানায় মামলা করে। যাহার নং-২৭, তাং-১২ এপ্রিল ২০১৭, যাহার জিআর নং-১৫৮/১৭। মামলায় তার নাম না থাকা সত্তেও মামলার সন্দেহভাজন আসামী হিসেবে জেল হাজতে প্রেরণ করে। পুলিশের এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে এরশাদ আলীর মাতা আবেজা বেগম (৬৩) বাদী হয়ে রংপুর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিঠাপুকুর আমলী আদালতে পুলিশ পরিদর্শক আজিমুদ্দিন ও সাব ইন্সপেক্টর জিয়াউর রহমানকে আসামী করে ৪ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে একটি মামলা দায়ের করিলে ঘটনার সহিত জড়িত পুলিশ কর্মকর্তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং বাদিনীকে গুলি করে হত্যার হুমকী দেন ও বাদিনীসহ তার ছেলে, জামাতার বিরুদ্ধে গত ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে একই পরিবারের তিনজনকে গ্রেফতার করে মিথ্যা মাদক মামলা দায়ের করেছেন বলে জানা যায়, যাহার এফআইআর নং-১৪/২৯৪, তাং-৫ জুলাই ২০১৭। ঘটনাটি সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের মধ্যে মারাত্মক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।