নির্বাচন নিয়ে গয়েশ্বরের ‘ফর্মুলা’
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
আগামী নির্বাচন নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘সুষ্ঠু ভোটের পূর্বশর্ত আপনার (প্রধানমন্ত্রী) পদত্যাগ। রাজনীতি করে না এ রকম লোক আমাদের সমাজে অভাব নেই। তাদের মধ্যে ১৫ থেকে ২০ জনকে দায়িত্ব দেন। তারা একটা নির্বাচন করুক। তখন জনগণ নিরাপত্তার কথা ভাববে না। জনগণ স্বতস্ফুর্তভাবে ভোট কেন্দ্রে আসবে।’ গতকাল শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নির্বাচনী এ ফর্মুলার কথা বলেন তিনি।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ওবায়দুল কাদের প্রতিদিনই আমাদের সংসদের নিয়ম পড়ান (সংবিধান অনুসারে নির্বাচন)। আমি ওবায়দুল কাদেরকে বলবো- এরশাদ সাহেব যখন পদত্যাগ করেন তখন জাস্টিস শাহাবুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হলো নির্বাচন করার জন্য। তিনি নির্বাচন করে আবার প্রধান বিচারপতির আসনে ফিরে গেলেন। ওটা কি সংবিধানে লেখা ছিলো?
‘প্রধান বিচারপতির চেয়ার ছেড়ে আবার কী চেয়ারে যাওয়া যায়? একজন তো সুস্থ অবস্থায় ছুটি নিয়ে দেশে ফিরতে পারলেন না, চেয়ারে বসতে পারলেন না। তাহলে ওই সময় কী এ রকম আইন ছিলো? ছিলো না। অর্থাৎ জনগণ যদি ঐকমত্য পোষণ করে সেই ঐক্যমতের ভিত্তিতে রাষ্ট্রের যা কিছু হয় সেটা সংবিধান মেনে নেয়। পরবর্তী সংসদে সেটা সংশোধন করে সংবিধান সম্মত করা হয়। সুতরাং জনগণের প্রয়োজনে সংবিধান। জনগণের প্রয়োজনে সংযোজন বিয়োজন হয়।’
তিনি বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। একে বেশি গুরুত্বপূর্ণ করেছেন জনগণের কাছে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান যদি ২৬ ও ২৭ মার্চ ‘স্বাধীনতার ঘোষণা’ না দিতেন তাহলে ৭ মার্চের ভাষণ গুরুত্বহীন হয়ে পড়তো। নিঃসন্দেহে স্বাধীনতার আগে ৭ মার্চের বক্তব্য জনগণকে উৎসাহ যুগিয়েছে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপি ও নাগরিক কমিটির সমাবেশ নিয়ে গয়েশ্বর বলেন, ১২ এবং ১৮ তারিখের দু’টি সভার উপস্থিতি নিয়ে জনগণের মাপার অধিকার রয়েছে। জনগণ বিচার করেছে কোন সভায় কত লোক হয়েছে। দেখা গেলো ১২ তারিখে শত বাধা বিপত্তির মধ্যেও, সব গাড়ি ঘোড়া বন্ধের পরও স্বাধীনতার পর ঢাকা শহরে এত বড় সমাবেশ হয় নাই। লাখ
লাখ লোক হয়েছে। কিন্তু ১৮ তারিখে সেখানে ১২ তারিখের ৫ ভাগের একভাগ মানুষ হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দুই মামলা নিয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর বলেন, ম্যাডাম প্রতি সপ্তাহে কোর্টে যান। কোর্ট থেকে আসেন এবং কোর্টে কি হবে না হবে আমরা অনুমান করতে পারি। কারণ এই কোর্টে সরকার হস্তক্ষেপ করে।
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, জনগণের আদালতে বিচার হবে খালেদা জিয়ার, আমার আপনার সবার। সেই জনগণের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য আমি অপেক্ষা করতে বলবো। সেই জনগণের আপনারা আপনি কোথায় যান, কোথায় নিক্ষেপ হন সেটার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি রফিকুল আলম মজনুর মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে ঢাকাস্থ ফেনী জাতীয়তাবাদী ছাত্র ফোরাম। ওমর ফারুক ডালিমের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্যে দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সহ সাংগঠনিক আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস প্রমুখ।