বিএনপিকে বাধা দিচ্ছে কে, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
খালেদা জিয়ার সমাবেশে জনসমাগম ঠেকাতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল রোববার বিকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশের আগে সকাল থেকে আশাপাশের জেলা থেকে ঢাকাগামী অধিকাংশ বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন, তাদের কর্মসূচিতে জনসমাগম ঠেকাতে সরকার পরিকল্পিতভাবে বাস চলতে দিচ্ছে না। দুপুরে ঢাকার একটি রেস্তোরাঁয় জাতীয় সড়ক পরিবহন নিরাপত্তা কাউন্সিলের সাধারণ সভা শেষে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বেরিয়ে আসার পর বিএনপির অভিযোগের প্রতিক্রিয়া সাংবাদিকরা জানতে চান তার কাছে।
কাদের বলেন, এটা খতিয়ে দেখতে হবে, খোঁজ নিতে হবে বাধাটা কে দিচ্ছে? বিএনপি তো নিজেরাই নিজেদের বাধা দেয়। অতীতে আমরা যখন এসব অভিযোগের খোঁজ–খবর নিয়ে দেখি, তখন অনেক সময় দেখা যায়, এসব অভিযোগের বাস্তব কোনো ভিত্তি নেই। আসলেই কথায় কথায় নালিশ করা বিএনপির পুরনো অভ্যাস।
ঢাকার প্রবেশ মুখগুলোতে গণপরিবহন সঙ্কট কেন– প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এটা আমি জানি না। এসময় পাশে থেকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, রাস্তা তো অলরেডি ব্লকড হয়ে গেছে, এগুলোকে (বাস) তো ফিরে এসে আবার যেতে হবে। তারপর আবার অতীতে তো গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া, যাত্রী পুড়িয়ে দেওয়া, এটা তো কারও না কারও অভ্যাস ছিল। এখন পরিবহন মালিকরা কেন রিস্ক নিয়ে গাড়ি নিয়ে ঢাকায় আসবে?
সমাবেশে জনভোগান্তির জন্য বিএনপি নেতা–কর্মীদের বিশৃঙ্খলাকে দায়ী করেন ওবায়দুল কাদের। ১৮ নভেম্বর ৭ মার্চের ভাষণের বিশ্ব স্বীকৃতির জন্য আমরা সমাবেশ দিয়েছি শনিবার দেখে। এ ধরনের সমাবেশে জনভোগান্তি হবেই, এটাকে সহনীয় মাত্রায় রাখা রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব। কিন্তু আজকে তো সহনীয় মাত্রায় নেই। মাত্রা অতিক্রম করে এখন রাস্তা অচল হয়ে গেছে। বেগম জিয়ার সংবর্ধনার দিনও একই অবস্থা হয়েছিলো। আমরা শেখ হাসিনাকে যে সংবর্ধনা দিয়েছিলাম সেখানে আমাদের মহিলা উপস্থিতিও তাদের সম্মিলিত উপস্থিতির চেয়েও বেশি ছিল। তারপরও আমরা ছিলাম সুশৃঙ্খল পরিবেশে, নেতাকর্মীরা ছিল ফুটপাতে। যারা আজকে রাস্তা অচল করে সভাসমাবেশ করে, তারা ক্ষমতায় আসলে তারা দেশ অচল করবে।
এই সমাবেশে খালেদা জিয়া ‘গুরুত্বপূর্ণ বার্তা’ দেবেন বলে বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার কি সহায়ক না কি তত্ত্বাবধায়ক? তারা একবার বলে সহায়ক সরকার আবার বলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আসলে কী চান তারা, তা কি আজ পরিষ্কার করবেন বেগম খালেদা জিয়া? তবে নির্বাচিত অর্থাৎ বর্তমান সরকারের অধীনেই একাদশ সংসদ নির্বাচন হবে, তা আবারও বলেন তিনি।