বাড়ি ও মন্দিরের জায়গা দখলের চেষ্টা
বাগেরহাটে সন্ত্রাসীদের হুমকিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে সংখ্যালঘু পরিবার
বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাট সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ছোট সিংগা গ্রামের কৃষ্ণপদ মৃধা নামের অসহায় এক সংখ্যালঘু পরিবারের বাড়ি ও মন্দিরের জায়গা দখলের পায়তারা চালাচ্ছে একই এলাকার প্রভাশালী একটি চক্র। এ অবস্থায় প্রভাবশালীদের ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের হুমকিতে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে কৃষ্ণপদসহ তার পরিবার। কৃষ্ণপদ এ ঘটনা তদন্ত করে প্রতিকার চেয়ে বাগেরহাট পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগে জানা যায়, বাগেরহাট সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ছোট সিংগা মৌজায় এসএ ৬২ নং খতিয়ানে এস,এ, ৪৭৬,৪৭৭ দাগে ৪৩ শতক জমি গত ২০০৩ সালে একই এলাকার অমূল্য রানার কাছ থেকে ক্রয় করে। এরপর ঐ জমিতে কৃষ্ণপদ বসতবাড়ি, মুদি দোকান ও সেবাশ্রম নামের সর্বজনিন একটি মন্দির নির্মান করে বসবাস করতে শুরু করে। কিন্তু একই এলাকার আমিমুদ্দিনের ছেলে আলফাজ নকিব ও তার ভাই আউয়াল তাদের বাড়ির পরিধি বৃদ্ধির জন্য ঐ জায়গা কেনার জন্য কৃষ্ণপদকে প্রস্তাব দেয়। এতে রাজী না হওয়ায় কৃষ্ণ ও তার পরিবারকে এলাকা থেকে হুমকি-ধামকিসহ এলাকা থেকে বিতারিত করার চেষ্টা করতে থাকে। এরপর আলফাজ নকিব ও তার ভাই আউয়াল বাগেরহাট আদালতে আমানতের একটি মামলা দায়ের করেন ঐ মামলায় আদালত তাদের পক্ষে রায় দিলে কৃষ্ণপদ ঐ রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে। এরপর আদালত ঐ রায়টি এক বছরে জন্য স্থগিতের আদেশ প্রদান করে। কিন্তু গত ১৬ সেপ্টম্বর আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে আলফাজ নকিব ও তার ভাই আউয়ালসহ ২০/২৫ জনের একদল দুর্র্বৃত্ত রামদা এবং লাঠিসহ কৃষ্ণপদের বাড়ীতে বিভিন্ন প্রকার গাছ কেটে ফেলে এবং বাড়ি সংলগ্ন দোকানে ভাঙচুর-লুটপাট চালায়। এসময় কৃষ্ণপদের স্ত্রী ও বৃদ্ধ মার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে কৃষ্ণপদ মৃধা বলেন, গত ১৬ সেপ্টেম্বরের ঘটনার পর থেকে আউয়াল ও আলফাজ নকীবের ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের অব্যহত হুমকিতে আমি এখন পরিবার নিয়ে এলাকা ছাড়া। আমি ভাই হিন্দু মানুষ পরিবার নিয়ে এখন কষ্টে মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমি আমার এবং আমার পরিবারের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এবিষয়ে আলফাজ নকীব বলেন, জায়গা-জমি নিয়ে কৃষ্ণপদের সাথে আমাদের বিরোধ চলছে। এ বিষয়ে আদালতে মামলা চলছে। আমাদের হয়রানি করার জন্য কৃষ্ণপদ ও তার পরিবার আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে।