এক প্ল্যাটফর্মে আনার উদ্যোগ মোবাইল ব্যাংকিং
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
দেশের মোবাইল ফাইনানশিয়াল সার্ভিসদাতা (এমএফএস) কোম্পানিগুলোকে এক ছাতার নিচে আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেছেন, এক প্ল্যাটফর্মে আনা গেলে এমএফএস সেবা হবে আরও সশ্রয়ী। বিকাশ থেকে রকেটে বা এক এমএফএস থেকে অন্য এমএফএসে লেনদেন আরও সহজ হবে।
জাতিসংঘের ই-গভার্নমেন্ট ডেভেলপমেন্ট সূচকে বাংলাদেশ ১২৪তম অবস্থান থেকে ১১৫তম অবস্থানে উঠে আসায় রোববার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সম্মেলনে কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী পলক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে মোবাইল অ্যাকাউন্টধারীর সংখ্যা চার কোটির মত। এর মধ্যে এক কোটি ৩০ লাখ মায়ের অ্যাকাউন্টে শিক্ষাবৃত্তি যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী গ্রামের মায়েদের ২০ লাখ মোবাইল ফোন কিনে দিয়েছেন। গত সপ্তাহে ১১টি উপজেলায় বিভিন্ন ভাতার টাকা ভাতাভোগীদের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে পাঠানো শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক এ পর্যন্ত ২৮টি ব্যাংককে এমএফএস সেবার অনুমোদন দিলেও তাদের মধ্যে মাত্র ১০টি ব্যাংক পুরোদমে সেবা দিচ্ছে। কিন্তু ভেরিফায়েবল ডিজিটাল আইডেন্টি সিস্টেম চালু না হওয়ায় এক এমএফএস থেকে আরেক এমএফএসে লেনদেন করা যায় না।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “বিকাশ থেকে সিওর ক্যাশে যদি টাকা পাঠাতে চান, সেটা সম্ভব নয়। যদি সিওর ক্যাশ থেকে রকেটে পাঠাতে চান, সেটাও সম্ভব নয়। এক মোবাইল থেকে যদি আরেকটায় ফোন করা যায়, তাহলে মোবাইল ফাইনানশিয়ালে কেন পারব না?”
পলক বলেন, সরকারের নির্দেশে ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কাজ শুরু হয়েছে। এমএফএসগুলোকে দ্রুত এক প্ল্যাটফর্মে আনা গেলে বাংলাদেশ এ খাতে বড় অগ্রগতি পাবে।