ভোলা জেলা প্রতিনিধি:
ভোলার দৌলতখানে দু’সন্তানের জননীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় ৩ বছর যাবৎ বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত রবিবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে তিন টার দিকে দৌলতখান উপজেলার চরশুবী ৪নং ওয়ার্ডের ওসমান শিওলী বাড়ী এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, ৯ বছর পূর্বে উপজেলার চরশুবী ৪নং ওয়ার্ডের ওসমান শিওলী বাড়ীর মৃত হোসেন আলীর ছেলে প্রবাসী রুস্তমের সাথে গুহিঙ্গার হাট লেজ পাতা ১নং ওয়ার্ডের শহিদ মিয়ার মেয়ে রিনা বেগমের বিয়ে হয় । বিয়ের পর থেকেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অবনাবন দেখা দেয়। এর জের ধরে রিনার সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক হয় একই বাড়ীর আব্দুল খালেকের ছেলে জাহিদুল ইসলামের। এক পর্যায়ে জাহিদ রিনার সাথে দৈহিক মিলন করার জন্য কু প্রস্তাব দেয়। এতে রিনা রাজি না হলে জাহিদ তাকে বিয়ে করবে বলে প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় ৩ বছর যাবৎ তাকে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ করে। রিনার কাছ থেকে জাহিদ লক্ষাদিক টাকার মতো নিয়েছে বলে ও অভিযোগ করে ভুক্তোভগী রিনা। রিনা জানায়, জাহিদের সাথে দৈহিক মিলনে রিনার পেটে বাচ্চা সৃষ্টি হয়। পরে জাহিদের চাপে রিনা ৫ মাসের বাচ্চা নষ্ট করে। ইতিমধ্যে রিনা একমাত্র জাহিদের দেয়া কথায় বিশ্বাস করে গত চার পাঁচ দিন আগে তার নিজের ইচ্ছায় পূর্বের স্বামী প্রবাসী রুস্তমের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তালাকের বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটায়। এর পর রিনা জাহিদ কে বিয়ে করতে বললে সে তাকে পাত্তা না দিয়ে বাড়ি থেকে লুকিয়ে অন্যত্র চলে যায়। সে জানায়- যদি জাহিদ আমাকে বিয়ে না করে তবে আমি তার নামে ধর্ষণ মামলা করব অন্যথায় এ ঘরের মধ্যে থেকেই আত্মহত্যা করব। এ নিয়ে দু জনের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হলে এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পরে। পরবর্তীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জাহিদ এবং রিনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দৌলতখান থানার এ এস আই মনির জানান, বর্তমানে রিনা এবং জাহিদ জেল হাজতে আছেন। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্ততি চলছে।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/৫মে২০১৮/ইকবাল