খুলনায় বখাটেদের উৎপাতে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা: তিনদিনের রিমান্ডে আ. লীগ নেত্রী মাফিয়া কবির
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
খুলনায় বখাটেদের উৎপাতে আত্মহত্যাকারী স্কুল ছাত্রী শামসুন নাহার চাঁদনীকে (১২) প্ররোচণাকারী আওয়ামী লীগ নেত্রী মাফিয়া কবিরকে ৩ দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে খুলনার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম সুমি আহমেদের আদালতে এ রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। এর আগে রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লবণচরা থানার এসআই ইউসুফ আলী তাকে জিজ্ঞাবাদের জন্য আদালতে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আদালতে আসামি পক্ষে রিমান্ডের বিরোধিতা করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান পপলুসহ একডজন আইনজীবী। তবে বাদিপক্ষে ছিলেন আদালতের সিএসআই জোসনা বেগম। আসামি মাফিয়া কবির বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি দু’বার ওই ইউনিয়নের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন। স্থানীয় হরিণটানা রোডের বাসিন্দা মাফিয়া কবিরের স্বামী কবির হোসেন বিদেশে থাকেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ইউসুফ আলী বলেন, মাফিয়া কবিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। তাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তবে বখাটে শুভসহ পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, বখাটে শামীম হাওলাদার শুভ ও তার সহযোগীদের ইভটিজিংয়ের শিকার হয়ে মেধাবী ছাত্রী শামসুন নাহার চাঁদনী ১৩ অক্টোবর রাতে নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তিনি খুলনা সরকারি করোনেশন বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ালেখা করতেন।চাঁদনী নগরীর লবনচরা থানার হরিণটানা গ্রামের সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট রবিউল ইসলামের মেয়ে। স্কুল ছাত্রী চাঁদনীর আত্মহননের প্ররোচনার অভিযোগে ১৪ অক্টোবর তার পিতা রবিউল ইসলাম বাদি হয়ে লবণচরা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় বখাটে শামীম হাওলাদার শুভ, তার পিতা শাহ আলম হাওলাদার, মা জাকিয়া বেগম, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী মাফিয়া কবির ও বন্ধু হাসিবসহ অজ্ঞাত আরো তিন–চারজনকে আসামি করা হয়। ওই দিনই পুলিশ শুভর সহযোগী মাফিয়া কবিরকে গ্রেফতার করে। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছে।