ভোলা প্রতিনিধিঃ
ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে অপহরণের ৩ মাসের মধ্যেও উদ্ধার হয়নি এক নারী। থানার সাধারণ ডায়রী ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, ওই এলাকার মোঃ জালাল আহাম্মদের ছেলে মোঃ দুলাল তার স্ত্রী আফিয়া বেগম ও ছেলে-সন্তান নিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছিল। সূত্রে জানাগেছে, আফিয়ার নামে তার স্বামী ৮শতাংশ জমি ক্রয় করে দেন। যার বর্তমান বাজার মূল্য রয়েছে প্রায় ১৫ লক্ষাধিক টাকা। এ জমি ও সুন্দরী অফিয়ার উপর লোলপ দৃষ্টি পরে ওই এলাকার প্রতিবেশী মোঃ আবদুল মালেকের লম্পট ছেলে মোঃ ইকবালের। ইকবাল সুন্দরী আফিয়া ও তার জমির মালিক হওয়ার জন্য আফিয়ার সাথে প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক করে। পরবর্তিতে সহজ সড়ল আফিয়াকে ফুসলিয়ে তার স্বামীর ঘর থেকে দুরে কোথাও নিয়ে যাওয়ার জন্য ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে থাকে। হাঠাৎ গত ১৯ জানুয়ারী ২০১৮ ইং থেকে আফিয়াকে আর তার বাড়ীতে খুজে পাওয়া যায়নি। পরে তার স্বামী ও আত্মীয়রা অনেক খোজাখোজির পর জানতে পারে ইকবাল কৌশল করে অফিয়াকে ভোলা থেকে লক্ষীপুর নিয়ে গেছে। এর পর দিন ইকবাল আফিয়ার স্বামী দুলাল ও তার মার কাছে ১ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করে। এ ব্যাপারে আফিয়ার স্বামী গত ২১ জানুয়ারী ভোলা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করে। যার নং- ৯৯৫। এর পর আফিয়ার স্বামী লক্ষীপুরের এক বাড়ীর মালিক থেকে জানতে পারে আফিয়াকে ইকবাল মুক্তিপনের জন্য জিম্মি করে রেখেছে। এ ঘটনার পর আফিয়ার স্বামী ভোলা সদর থানায় পূর্বের জিডির আলোকে একটি অপহরণ মামলা করতে গেলে পুলিশ সে মামলাটি আমলে নেয়নি। ইকবাল মুক্তিপনের টাকা না পেয়ে আফিয়ার স্বামীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তার পালিত ৪জন ক্যাডার দিয়ে গত ২০জানুয়ারী ২০১৮ ইং মধ্য রাতে আফিয়ার স্বামী দুলালের বসত ঘর চুরি করে। এতে সন্ত্রাসীরা ঘর থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও দামীয় আসবাবপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। এ মামলায় ৩ নং আসামী হেলাল কিছু দিন জেল খেটে জামিন পেলেও পরবর্তিতে পুলিশ এ চুরি মামলার সড়যন্ত্রকারী ১নং আসামী ইকবালকে আটক করে জেলে পাঠায়। বর্তমানে ইকবালকে চুরি মামলা থেকে জামিনের জন্য তার পরিবার মরিয়া হইয়া কোর্ট কাচারীতে দৌড়ঝাপ চালাচ্ছে। কিন্তু স্বামী দুলাল গত ৩ মাস হয়ে গলেও এখন পর্যন্ত তার স্ত্রী আফিয়াকে ফেরৎ পায়নি। এ ব্যাপারে আফিয়ার স্বামী দুলাল তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/৮এপ্রিল২০১৮/ইকবাল