সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
“অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে স্বল্পোন্নত দেশ হতে ‘নিম্ন মধ্যে আয়ের’ দেশে উত্তরণের সাফল্য উদযাপন উপলক্ষে সুনামগঞ্জে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে থেকে র্যালীটি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে গিয়ে জেলা প্রশাসক সাবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ মানে উন্নয়নের বাংলাদেশ।
বর্তমানে সময়ে বাংলাদেশে শুধু উন্নয়ন আর উন্নয়ন যা অতীতে কেউ কল্পনা করতে পারেনি যে বাংলাদেশ এক সময় উন্নশীল দেশে পরিনিত হবে। বক্তারা আরো বলেন, একযুগ ছিল বাংলাদেশরে নাম বিদেশে গিয়ে বললে সেই দেশের মানুষ মুখের দিকে তাকিয়ে থাকত , বলত বাংলাদেশ কোথায়, কিন্তু বর্তমান সময়ে অন্য কোন দেশে গিয়ে পরিচয় দিতে হয় না, বাংলাদেশের মানুষকে তারা এমনিতেই চিনে ফেলে আর তা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা মাধ্যমে। বক্তারা বলেন, আমরা যেমন দাবি করি সুনামগঞ্জ সাংস্কৃতির রাজধানি শুধু সাংস্কৃতিক দিকে এগিয়ে গেলে চলবে না, পড়া লেখার দিকেও সুনামগঞ্জকে এগিয়ে নিতে হবে। সহকারী কমিশনার আমিমুল এহসান খানের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক সাবিরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার বরকতুল্লাহ খান, ২৮ বর্ডার র্গাড ব্যাটিলিয়নের অধিনায়ক নাসির উদ্দিন ইহমদ পিএসসি, ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. বিশ্বজিৎ গোলদার, যুদ্ধাহত মুক্তিযুদ্ধা আব্দল হাসিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এমরান হোসেন, সুনামগঞ্জ এলজিডির নিবার্হী প্রকশলী ইকবাল আহমেদ, পরিবার পরিকল্পনার উপ-পরিচালক মোজ্জমেল হক প্রমুখ। আলোচনা সভার আগে সুনামঞ্জের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্য প্রজেক্টরের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাবিবুল্লাহ, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ইব্রাহিম আল মামুন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষক আলমগীর কবির, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকশলী রঞ্জন কুমার দাশ। আলোচনা সভার পূর্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা কাকন বিবির আত্মার মাগফিরাত কামনায় এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। দোয়ারাবাজারে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় কাঁকন বিবির দাফন সম্পন্ন বীর মুক্তিযোদ্ধা কাকন বিবির রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন ও জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ বেলা ৩ টায় লক্ষ্মীপুর মাঠে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাযায় জেলা প্রশাসক মোঃ সাবিরুল ইসলাম পুলিশ সুপার মোঃ বরকতুল্লাহসহ জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ড ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানোর আগে কাকন বিবির মরদেহে ফুলের তোড়া দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা আওয়ামীলীগ ও দোয়ারাবাজার উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ। পরে জেলা পুলিশের একটি চৌকস দল কাকন বিবিকে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানায়। পরে অনুষ্ঠিত হয় নামাজের জানাজা। এর আগে জেলা প্রশাসক মোঃ সাবিরুল ইসলাম বলেন, কাকন বিবির স্মৃতি রক্ষায় সরকার সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহন করবে। তিনি আরও বলেন কাকন বিবির নামে একটি লাইব্রেরী ও মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর স্থাপন করা হবে। পুলিশ সুপার মোঃ বরকতুল্লাহ বলেন, দেশমাতৃকা স্বাধীন করতে কাকন বিবি মুক্তিযোদ্ধে গুপ্তচর, সম্মুখ সমরের যুদ্ধাসহ যুদ্ধের সকল স্তরে অংশগ্রহন করেছে। সুনামগঞ্জবাসী ও বাঙ্গালী জাতি তাকে চিরদিন স্মরণ রাখবে। দোয়াবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মোঃ ইদ্রিস আলী বীরপ্রতীক বলেন, কাকন বিবির মৃতুতে দেশ হারিয়েছে এক অসমসাহসী মুক্তিযোদ্ধাকে। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে কাকন বিবির নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে। জানাজার নামাজে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধ চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্রের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরু, দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা কাজী মহুয়া মমতাজ, আব্দুল হালিম বীরপ্রতীক, আব্দুল মজিদ বীরপ্রতীক, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সফর আলী, লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল হক।বোগলা বাজার ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম জুয়েল। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাস্টার প্রমুখ। জানাজা শেষে ঝিরারগাও গ্রামের নিজ বাসভবনের আঙ্গিনায় সমাহিত করা হয় তাকে।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২৫মার্চ২০১৮/ইকবাল