অপুর্ব; ব্যুরো চীফ ময়মনসিংহ
সম্প্রতি জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহবুবুর আলম লাভলুর সঙ্গে উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জহুরা বেগমের একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়।
ফোনালাপে মামলার চার্জশিট থেকে নাম কেটে দিতে যুব মহিলা লীগ নেত্রীকে দেখা করতে বলেন লাভলু। এ ঘটনায় যুবদল নেতাকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় যুবদলের নির্বাহী কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জামালপুর যুবদলের আহ্বায়ক সজিব খান।
এর আগে রবিবার (১০ নভেম্বর) যুবদল নেতা বললেন ‘যোগাযোগ কইরেন, চার্জশিট থেকে নাম কাইটে দিমু নে’ এই শিরোনামে কয়েকটি মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।এরপরই কেন্দ্রীয় যুবদল নির্বাহী কমিটির সহ-দফতর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।
এতে বলা হয়, ‘আপনি বকশীগঞ্জ যুবদলের গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকেও নিয়মবহির্ভূত কার্যক্রম পরিচালনা করছেন বলে যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এমতাবস্থায় সংগঠনবিরোধী এমন কর্মকাণ্ডের জন্য আপনার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা ২২ নভেম্বরের মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আবদুল মনোয়ার মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়নের সামনে লিখিত কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হলো।’
কারণ দর্শানোর নোটিশের বিষয়ে জানতে মাহবুবুর আলম লাভলুর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
জামালপুর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সজিব খান বলেন, ‘আমরা কল রেকর্ডটি শুনেছি এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তারা যা ভালো মনে করেছেন সেভাবে ব্যবস্থা নিয়েছেন। দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে এমন কাজ করার কারও কোনও সুযোগ নেই।’
ফাঁস হওয়া ফোনালাপে সালাম ও কুশলবিনিময়ের পর জহুরা বেগম জিজ্ঞেস করেন, ‘এখন এটা (তার নাম) কি চার্জশিট থেকে কাটা যাবে?’ উত্তরে মাহবুবুর আলম বলেন, ‘চার্জশিট থেকে কাটা যাবে। তখন আপনি যোগাযোগ কইরেন, কাইটে দিমুনি।’
জহুরা বেগম আবারও বলেন, ‘এখন কোনোকিছু করা যাবে না?’ উত্তরে মাহবুবুর আলম বলেন, ‘এখন তো কিছু করা যাবে না। তবে মানিক ভাইয়ের (উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মানিক সওদাগর) সঙ্গে বসে কথা বলতে হবে।’
ফোনালাপের ব্যাপারে জানতে জহুরা বেগমের মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের মাহবুবুর আলম বলেছেন, ‘একটি ছেলে আমাকে ফোন ধরিয়ে দিয়েছিল। আমি সহজ-সরল মানুষ। সে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে।’