ডার্বি’ ম্যাচে ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেডকে পেয়ে রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছেন আর্লিং হলান্ড! ওল্ড ট্রাফোর্ডে ম্যানচেস্টার সিটির ৩-০ গোলের জয়ে হলান্ড করেছেন জোড়া গোল। একাধিকবার ইউনাইটেড গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানা বাধা হয়ে না দাঁড়ালে পেয়ে যেতে পারতেন হ্যাটট্রিকও।
সাম্প্রতিক ছন্দ বা পরিসংখ্যান—কোনোটাই ইউনাইটেডের পক্ষে ছিল না। তবু ঘরের মাঠে ম্যাচ বলে ম্যানচেস্টারের লাল অংশ একটু আশাবাদীই ছিল। এসব ম্যাচ যে অনেক সময় শক্তি-সামর্থ্যের তারতম্যকেও ছাপিয়ে যায়। তবে আজ রাতে তেমন কিছুই করতে পারেনি ইউনাইটেড। পেপ গার্দিওলার দলের সামনে রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে তারা। এদিন ৬১ শতাংশ বলের দখল রেখে ২১টি শট নেয় সিটি, যার ১০টিই ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে ৩৯ শতাংশ বলের দখল রাখা ইউনাইটেডের ৭ শটের মাত্র ৩টি ছিল লক্ষ্যে।এদিন ম্যাচ শুরুর আগে দুই দল স্মরণ করেন সদ্য প্রয়াত কিংবদন্তি ববি চার্লটনকে। আর খেলা শুরু হয় সিটির দাপটে। শুরু থেকে ইউনাইটেডকে চাপে রাখা ম্যান সিটির এগিয়ে যেতে সময় লাগে ২৬ মিনিট। বক্সের ভেতর রাসমুস হয়লান্দ রদ্রিকে ফেলে দিলে পেনাল্টি পায় সিটি। স্পট কিকে গোলরক্ষককে উল্টো দিকে পাঠিয়ে সিটিকে লিড এনে দেন হলান্ড। বিরতির আগে ব্যবধান আরও বাড়াতে পারতেন হলান্ড। কিন্তু নরওয়েজীয় স্ট্রাইকারের হেড দারুণভাবে ঠেকিয়ে দেন ওনানা।বিরতির পর অবশ্য ব্যবধান বাড়ানোর জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি হলান্ডকে। ওনানার বাঁচিয়ে দেওয়া প্রচেষ্টারই যেন পুনরাবৃত্তি করেন এই স্ট্রাইকার। কিন্তু এবার আর ইউনাইটেডকে রক্ষা করতে পারেননি গোলরক্ষক। ব্যবধান ২-০ কর সিটি। এরপর ৮০ মিনিটে দলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন ফিল ফোডেন। এই গোলটি ফোডেনকে বানিয়ে দেন হলান্ডই।
এদিকে এই জয়ের পরও অবশ্য পয়েন্ট তালিকার ৩ নম্বরে থাকছে সিটি। ১০ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২৪। আর ৮ নম্বরে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পয়েন্ট ১০ ম্যাচে ১৫।
একই রাতে অন্য ম্যাচে লিভারপুল হারিয়েছে নটিংহাম ফরেস্টকে। ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে লিভারপুলের জয় ৩-০ গোলে। ‘অল রেড’ হয়ে গোল করেছেন দিয়েগো জোতা, দারউইন নুনিয়েজ এবং মোহাম্মদ সালাহ।