-
- জেলা সংবাদ, দুর্ভোগ
- টানা শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত জন-জীবন
- আপডেট সময় January, 16, 2023, 12:49 pm
- 317 বার পড়া হয়েছে
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
উত্তরের হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশার কনকনে ঠান্ডায় চরম কষ্টে দিন পার করছেন কুড়িগ্রামের মানুষজন। জেলাটিতে গত এক সপ্তাহ ধরে টানা মৃদু শৈত্য প্রবাহ থাকার কারণে গরম কাপড়ের অভাবে কষ্টের মাত্রা আরো বেড়েছে শীতার্তদের।
সোমবার(১৬ জানুয়ারি) বেলা ১২ টার পরও দেখা মেলেনি সূর্যের। বাতাসের আদ্রতায় জলীয় বাষ্প ১০০ শতাংশ থাকায় হিমেল হাওয়ায় বেড়েছে কনকনে ঠান্ডার মাত্রা। এ অবস্থায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল, খেটে খাওয়া ও শ্রমজীবী মানুষজন। শীত নিবারণের জন্য অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা পাওয়ার চেষ্টা করছেন । শৈত্যপ্রবাহের কারণে জেলার চিলমারী নৌ-বন্দর ও সদরের মোগলগাছা নৌ-ঘাট থেকে ৪-৫ ঘন্টা বিলম্বে নৌ-যানগুলো চলাচল করছে। পাশাপাশি সড়কে দূর্ঘটনা এড়াতে হেড লাইট জ্বালিয়েই চলছে যান-বাহনগুলো। কুড়িগ্রামের আন্তনগর ও লোকাল ট্রেনগুলো কুয়াশার কারণে ২-৩ ঘন্টা বিলম্বে ছাড়ছে।
কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকাগামী যাওয়া মমিনুল ইসলাম বলেন,’ সকাল ৭টায় ষ্টেশনে আসছি। সোয়া ৭টায় ট্রেন অথচ কুয়াশার কারণে ট্রেন দুই ঘন্টা বিলম্বে ছেড়েছে।’
পৌরসভার বাসিন্দা অমিত পাল বলেন,’সকাল সাড়ে ১১টা বাজতে চললো । অথচ রোদের দেখা এখনো মিলছে না। এ অবস্থায় কাজ করা খুব অসুবিধা হয়ে পড়েছে।’
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে অবস্থিত কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তুহিন মিয়া জানান, সোমবার কুড়িগ্রাম জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। মৃদু শৈত্য প্রবাহ আগামী দুই থেকে তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
জেলা ত্রাণ ও পুণর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার বলেন,’জেলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শীতের কষ্ট লাঘবে জরুরি ভিত্তিতে শীতবস্ত্র কেনার জন্য ১৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের বরাদ্দ দেয়া এ অর্থ জেলার ৯ উপজেলায় উপ-বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।’
এ জাতীয় আরো খবর