অনলাইন ডেস্ক:-
এ সময় প্রধানমন্ত্রীসহ তার ভ্রমণসঙ্গীরা সবাই ট্রেন থেকে নেমে যান।
এর আগে, দুপুর ১টা ৩৩ মিনিটে ১ নম্বর কাউন্টার থেকে টিকিট কাটেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে তার ছোট বোন শেখ রেহানাও টিকিট কাটেন। ১টা ৩৭ মিনিটে কার্ড পাঞ্চ করেন প্রধানমন্ত্রী ও তার ছোট বোন। চলন্ত সিঁড়িতে চড়ে প্ল্যাটফর্মে যান তিনি। পরে সবুজ পতাকা উড়িয়ে মেট্রোরেলের যাত্রা শুরু করেন শেখ হাসিনা।
১টা ৪৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ট্রেনে প্রবেশ করার পর ট্রেনটি আগারগাঁওয়ের উদ্দেশে দিয়াবাড়ি ছেড়ে যায়।
এ সময় তার সঙ্গে মেট্রোরেলে চড়েন- যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, মাদ্রাসা শিক্ষক, ইমাম, অন্যান্য ধর্মযাজক, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, পোশাক শ্রমিক, রিকশাচালক, কৃষক, শ্রমিক, দোকানি, বাদাম বিক্রেতা, সবজি বিক্রেতা, মেট্রোরেলের শ্রমিক, প্রতিরক্ষা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গণমাধ্যমকর্মী, কূটনীতিক, উন্নয়ন সহযোগী, একজন প্রতিবন্ধী। সবমিলিয়ে দুই শতাধিক যাত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রথম মেট্রোরেল ভ্রমণ করেন।
মেট্রোরেল প্রথম ধাপের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ঢাকাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান হলো। দেশ প্রবেশ করল মেট্রোযুগে আর বিজয়ের মাসে ঢাকাবাসী পেল আরও একটি বিজয়ের স্বাদ।
উদ্বোধনের পর রুটের মধ্যবর্তী স্টেশনে কোনো স্টপেজ ছাড়াই উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চলবে। বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) থেকে যাত্রীরা ট্রেনে যাতায়াত করতে পারবেন। প্রতিটি ট্রেন প্রথম কয়েক দিনের জন্য প্রতিটি প্ল্যাটফর্মে ১০ মিনিট যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করবে।
প্রাথমিকভাবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ছয়টি বগিবিশিষ্ট ১০ সেট ট্রেন চলাচল করবে। আপাতত এ রুটে ধীরগতিতে ট্রেন চলবে। এ পর্যায়ে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ট্রেন চলবে।