September 22, 2024, 1:50 am

সংবাদ শিরোনাম
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে ফয়জুল আজীম নোমান এর যোগদান জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে শহীদ জিয়া ও সকল শহীদদের স্মরণে স্বাধীনতা কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি কু‌ড়িগ্রা‌মের উলিপু‌রে বিদ‌্যুৎস্পৃষ্টএক যুব‌কের মৃত্যু যশোরে বালিচাপা অবস্থায় প্রতিবন্ধী যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে ৪০ পিস ইয়াবা ও ১ টি ভ্যান জব্দসহ ২ জন মাদক কারবারি গ্রেফতার জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত দুর্নীতি বিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফর রহমান মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার বন্ধে কুড়িগ্রামে জলবায়ু ধর্মঘট খুলনা দৌলতপুর রেলস্টেশন ও মহসিন মোড় কাঁচাবাজারে এলাকাবাসীর উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা অভিযান

শীতের শুরুতেই দিশেহারা উত্তরের জনপদ 

আহসান সাকিব হাসান :
লালমনিরহাটে জেঁকে বসেছে শীত। মঙ্গলবার সকাল ১১ টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল জনপদ। তাপমাত্রা কমায় খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করে শ্রমজীবী মানুষ। শুক্রবার বিকেল থেকে শীত আর হালকা শৈত্যপ্রবাহে বিপাকে পড়েছে জনজীবন। শনিবার ভোর থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত কনকনে শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে কাজে যেতে পারেননি অনেকেই । সড়কে যানবাহন চলেছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।
দিনমজুর মোফাজ্জল হোসেন, আহেদুল ইসলাম, সালাম মিয়াসহ অনেকে জানান, কয়েক দিন ধরে কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে । বইছে ঠান্ডা বাতাস এ অবস্থায় সকাল ১০ টা পর্যন্ত অনেকেই কাজে যায়নি। এদিকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগ । জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়ায়, আক্রান্ত রোগীর ভিড় বাড়ছে জেলা সদর হাসপাতাল সহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ।
লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মেডিকেল আবাসিক অফিসার সামিরা হোসেন জানায়, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। বর্তমান সময়ে শীতজনিত রোগে বেশিরভাগ শিশু ও বয়স্করা ভর্তি হচ্ছে। এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করলে কিছুটা হলেও সুরক্ষা মিলবে।
এদিকে শীত নিবারণে সাশ্রয়ী মূল্যে শীতবস্ত্র কিনতে নিম্ন আয়ের মানুষ ফুটপাতের দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছে।গতকাল বিকেলে শহরের বিডিআর গেটে গিয়ে দেখা যায়, পুরোনো কাপড়ের দোকানে ক্রেতাদের ভিড়। বেশি বিক্রি হচ্ছে টাউজার, জাম্পার, সহ জ্যাকেট । গত বছরের তুলনায় এবার দাম অনেকটা বেশি। একটি জ্যাকেট ৯০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি করছে। এ বছর গরম কাপড়ের চাহিদা বেশি । সরকারিভাবে উপজেলার ১১ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৫ হাজার ৮৮০ কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বেলাল হোসেন (৪৫) বলেন, প্রতি বছর ফুটপাতে শীতকালীন পোশাক বিক্রি করি। গত বছর সেজনে ৫০ টি বেল বিক্রি করেছি। সেই সময় বেলের দাম ছিলো ২০/ ২২ হাজার এখন সেই একই বেল ২৭/৩০ হাজার টাকা। প্রতি বেলে দাম বেড়েছে ৮/১০ হাজার টাকা।
ক্রেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, ফুটপাতের কাপরের যে দাম আমরা মার্কেট থেকে এই পোশাক কিনতে পাড়ি। সব কিছুর দাম অনেক বেশি। এভাবে দাম থাকলে আমাদের গায়ে পোশাক চড়বে না।
বেচাবিক্রি হালকা সেজেনারি ব্যবসা লেপতোশকের দোকানেও। দোকান মালিকরা বলছে, সব জিনিসের দাম আকাশ চুম্বি। সুতো, তুলা, কারিগরসহ অন্যান্য জিনিস এর দাম পর্যায়ে তুলনায় অনেকটা বেশি। যার কারণে কম দামে আমরাও জিনিস বিক্রি করতে পারছি না। এদিকে কাস্টমাররা দোকানে এসে দাম শুনে ফেরত যাচ্ছে অনেকেই।
সদরের কুলাঘাট ইউনিয়নের শিবেরকুটি এলাকার শওকত আলী নামে এক ক্রেতার সাথে কথা হলে তিনি জানান, ইটভাটায় কাজ করি দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরি পাই। শীতের সময় রোদ না উঠলে কাজে ডাক পড়েনা। একদিন কাজ করে তিনদিন বসে থাকি। সংসার চালানো মুশকিল হয়েছে। আর লেপ নেওয়ার জন্য এসে যা দামের কথা শুনলাম এটা আমার সাধ্যের বাইরে।
শনিবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের । ঘন কুয়াশার কারণে বেশি বিপাকে পড়েছেন ধরলা নদী তীরবর্তী অঞ্চলের শিশু ও বয়স্করা। অসুবিধায় পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। শিবেরকুটি ধরলা তীরবর্তী এলাকার নজরুল জানান, কয়েক দিন ধরে কুয়াশা পড়ছে। সেই সঙ্গে হিমেল বাতাসে বাইরে কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে। অর্থের অভাবে শীতবস্ত্র ও কিনতে পারছি না। সরকারিভাবে এখনও কোন শীতবস্ত্র পাইনি। একই কথা জানান, শিবেরকুটি ঘুঘুটারীর বানেছা বেওয়া ও মিনা বেওয়া।
লালমনিরহাট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন জানান, ত্রাণ তহবিল থেকে ৯ হাজার ৭৭০ কম্বল বরাদ্দ পেয়েছি। প্রতিটি ইউনিয়নে ৫৩০ টি করে কম্বল দেওয়া হয়েছে। আরও চাহিদা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর