অনলাইন ডেস্কঃ
জ্বালানি সাশ্রয়ে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং। মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সকালে রাজধানীর বনশ্রী-আজিমপুরসহ বেশ কিছু এলাকায় লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে শুরু হয় এই প্রক্রিয়া।
তীব্র গরম থেকে বাঁচতে অনেকে এ সময় রাস্তায় নেমে আসেন। তাদের কেউ কেউ গরমে কষ্টের কথাও জানান। তবে কেউ কেউ আবার সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তাদের বিশ্বাস, এই খারাপ সময়ে কৃচ্ছতা সাধন করলে ভবিষ্যতে সুফল মিলবে।
জ্বালানি সংকটে বিদ্যুতের উৎপাদন কমিয়ে আনতে লোডশেডিংয়ে বাধ্য হয়েছে সরকার। মানুষের যাতে সমস্যা কম হয় সেজন্য সময়সূচি করে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং করে বিদ্যুৎ বিতরণ করা হচ্ছে। কখন কোথায় বিদ্যুৎ থাকবে না, তা ওয়েবসাইটে প্রকাশের মাধ্যমে জানিয়ে দিচ্ছে বিতরণী সংস্থাগুলো।
প্রসঙ্গত, আজ থেকে সময়সূচি অনুযায়ী এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিতরণ শুরু হওয়ার ঘোষণা আসে গতকাল সোমবার। দিনে এক থেকে দেড় ঘণ্টা, কোথাও কোথাও দুই ঘণ্টা লোডশেডিং হবে। জ্বালানি তেলের লোকসান কমাতে ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোও বন্ধ করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে এসেছে আরও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত। এসবের মধ্যে রয়েছে, তেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থগিত করা। সরকারি-বেসরকারি অফিসের সভা হবে ভার্চুয়ালি। সপ্তাহে একদিন করে পেট্রোল পাম্প বন্ধ রাখা হবে।